আসামের গোয়ালপাড়া জেলার মাটিয়ায় ভারতের প্রথম ‘ডিটেনশন ক্যাম্প’ বা বন্দিশিবির চালু হয়েছে। ‘বিদেশি’ অভিযোগে যেসব শিশু, নারী ও পুরুষকে আটক করা হয়েছে, তাদের রাখার জন্যই এই শিবির। শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) নারী ও শিশুসহ এরকম অন্তত ৬৮ জনকে এই শিবিরে পাঠানো হয় বলে আসাম পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল বর্ণালি শর্মা সংবাদমাধ্যমকে জানান। সরকারিভাবে অবশ্য এই বন্দিশিবিরকে ‘ট্রানজিট ক্যাম্প’ বলা হচ্ছে।
২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ১৯৫ জন আসামের ৬টি অস্থায়ী বন্দিশিবিরে ছিলেন। তাদের মধ্যে ৬৮ জনকে এই স্থায়ী বন্দিশিবিরে নিয়ে যাওয়া হলো। ২০ বিঘা জমির উপরে ৪৬ কোটি ভারতীয় রুপি ব্যয়ে এই শিবির বানানো হয়েছে।
বর্ণালি শর্মা বলেন, খুব অল্পসংখ্যক কর্মী দিয়ে বন্দিশিবিরটি চালানো হচ্ছে। তবে যাদের আনা হচ্ছে, তাদের জন্য প্রয়োজনীয় সুবিধা এবং পরিকাঠামো দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইন্সপেক্টর জেনারেল আরও বলেন, যারা ‘বিদেশি’ নাগরিক হিসেবে চিহ্নিত হয়েছেন, তাদেরই এখানে আনা হয়েছে। অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বন্দিশিবিরে যাদের আনা হয়েছে, তাদের আসামের ‘ফরেনারস ট্রাইব্যুনাল’ অতীতে ‘বিদেশি’ বলে চিহ্নিত করেছিল। এ ছাড়া, সাধারণ আদালত যাদের দোষী সাব্যস্ত করেছেন, ভিসাবিষয়ক নির্দেশ অপব্যবহারের জন্য, তাদেরও আনা হয়েছে গোয়ালপাড়ার বন্দিশিবিরে।
নানা বিতর্কের মধ্যেই কোনো প্রচার বা ঘোষণা ছাড়াই গোয়ালপাড়ার বন্দিশিবির চালু করলো আসাম সরকার। এ শিবিরকে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম বলে চিহ্নিত করেছে প্রচারমাধ্যম। এখানে তিন হাজার মানুষকে অনির্দিষ্টকালের জন্য রাখা যাবে। ধারণা করা হচ্ছে, আগামী কয়েকদিনে অন্যান্য অস্থায়ী বন্দিশিবির থেকে বন্দিদের এনে এখানে রাখা হবে এবং অস্থায়ী শিবিরগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে। সূত্র: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস