গত ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের মুখে পতন হয় শেখ হাসিনার সরকারের। পরে বিমান বাহিনীর একটি উড়োজাহাজে পালিয়ে অবস্থান নেন ভারতে। প্রথমে সেনা প্রধান এবং পরে তিন বাহিনীর প্রধানকে পেছনে রেখে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন শেখ হাসিনা পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
তবে শেখ হাসিনা তা বরাবর অস্বীকার করে আসছেন। যদিও একটি গণমাধ্যমে রাষ্ট্রপতি জানান, তার কাছে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগের কোন লিখিত নেই। পালিয়ে যাওয়ার কারণে সর্বোচ্চ আদালতের পরামর্শ নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শেখ হাসিনা পালানোর দু-মাস পর বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ আসে প্রবাসী সরকার গঠনের পাঁয়তারা করছে আওয়ামী লীগ। এ খবরে ছাত্র আন্দোলনের নেতারা ছুটে যান কুমিল্লায় করেন বিক্ষোভ। মিছিলে যোগ দিয়ে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, খুনি হাসিনা ভারতের ত্রিপুরায় বসে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছেন। এ কারণে আমরা কুমিল্লা বাসি তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এই বিক্ষোভ মিছিল বের করেছি।
প্রবাসী সরকার গঠনের গুঞ্জনের সত্যতা খুঁজতে গণমাধ্যমের কথা হয় আওয়ামী লীগের প্রচার কমিটির ও শেখ পরিবারের একজন শেখ রুবেলের সাথে। তিনিও পালিয়ে আছেন ভারতে।
শেখ রুবেলের দাবি, শেখ হাসিনাকে প্রধান করে শিগগিরই ভারতের মাটিতে প্রবাসী সরকার গঠন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। তিনি বলেন, গতকাল ভারতে আমাদের একটি ভার্চুয়াল মিটিং হয়েছে। সেখানেই সিদ্ধান্ত হয় প্রবাসী সরকার গঠনের, যার প্রতিনিধিত্ব করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী তিনি এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
যদিও প্রবাসী সরকার ইস্যুতে ভারত সরকারের অনুমতির বিষয়টি এড়িয়ে যান শেখ পরিবারের এই সদস্য। তিনি বলেন, দেখেন তাদের সহযোগিতা ছাড়া আমাদের কোন কিছুই করা সম্ভব না। তবে দুদেশের সুসম্পর্ক যেন বজায় থাকে সেজন্যে আমরা কৌশলে এগিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে প্রবাসী সরকার গঠনের বিষয়ে জানতে চাইলে তা স্বীকার না করলেও স্পষ্ট করে কিছু বলতে চাননি আওয়ামী লীগের সিনিয়র কয়েকজন নেতা।
এম.কে
২১ অক্টোবর ২০২৪