ভারত সরকার বর্তমানে পর্যটন ভিসা বাদে অন্য সব ধরনের ভিসা বাংলাদেশি নাগরিকদের দিচ্ছে। জরুরি প্রয়োজনে, বিশেষ করে চিকিৎসার জন্য ভিসার আবেদনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় দেড় থেকে দুই হাজার ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি। তবে, এই পরিস্থিতিতে কিছু প্রতারক চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে, তাই ভারতীয় হাইকমিশন সবাইকে তাদের থেকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছে।
গত বছরের ৫ আগস্টের আগে ভারত বছরে প্রায় ১৬ লাখ ভিসা ইস্যু করত। কিন্তু ওই ঘটনার পর দেশের চারটি ভিসা কেন্দ্রে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে, যার ফলে ভিসাকেন্দ্রগুলোর নিরাপত্তা অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। এর কারণে বর্তমানে পাঁচটি কেন্দ্রের মাধ্যমে ভিসা আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে। যদিও প্রথমে শুধু শিক্ষার্থী ও মেডিকেল ভিসা দেওয়া হতো, এখন পর্যটন বাদে অন্য সব ক্যাটাগরির ভিসা ইস্যু করা হচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পূর্ণমাত্রায় ভিসা কার্যক্রম চালু হতে পারে বলে জানানো হয়েছে।
ভারতীয় ভিসা সীমিত হওয়ার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু এজেন্ট ও দালাল চক্র সক্রিয় হয়েছে। তারা কৃত্রিমভাবে আবেদন পোর্টালে জট তৈরি করছে, যার ফলে সাধারণ আবেদনকারীদের জন্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। এই দালালরা টাকার বিনিময়ে ভুয়া কাগজপত্র যেমন—হাসপাতালের ভুয়া কাগজপত্র, প্লেনের টিকেট এবং ব্যাংক বিবরণী তৈরি করে জমা দিচ্ছে। এসব কারণে অনেক জরুরি আবেদনও বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
হাইকমিশন থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের অসাধু কর্মকাণ্ড বন্ধে প্রযুক্তিগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে ঢাকা ও রাজশাহীতে চারজন প্রতারককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাই আবেদনকারীদের সরাসরি আবেদন করার এবং কোনো দালাল বা এজেন্টের ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্য সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫