২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে পর্যটকদের ওপর হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। এই উত্তেজনা প্রশমনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সক্রিয়ভাবে মধ্যস্থতার চেষ্টা চালায়।
১১ মে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সরাসরি ফোনে কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের হাতে আসে এক ‘উদ্বেগজনক’ স্পর্শকাতর গোয়েন্দা তথ্য, যা নাটকীয় সংঘর্ষের আশঙ্কা সৃষ্টি করে। এই প্রেক্ষাপটেই ভ্যান্স মোদিকে ফোন করেন এবং আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের আহ্বান জানান।
ভ্যান্সের পাশাপাশি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ সুসি ওয়াইলস আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। হোয়াইট হাউস ভারতের কাছে একটি সমঝোতার রূপরেখাও উপস্থাপন করে যা পাকিস্তান মেনে নিতে পারে বলে তারা বিশ্বাস করে।
এই কূটনৈতিক প্রচেষ্টার ফলেই শনিবার ভারত ও পাকিস্তান একটি যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছে। তবে যুদ্ধবিরতির কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই দুই পক্ষ একে অপরের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে।
ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানের ওপর চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলেন এবং কড়া প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি দেন। অপরদিকে পাকিস্তানও একই অভিযোগ তুলে নিজেদের বাহিনীর সংযমপূর্ণ অবস্থানের কথা জানায়।
এম.কে
১১ মে ২০২৫