যুক্তরাজ্যের নতুন পঞ্চদফা নীতিমালা নিয়ে নানা আলোচনা পর্যালোচনা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ইঙ্গিত দিয়েছেন, ব্রিটেনে ইতিমধ্যে যারা অবস্থান করছেন তাদের নতুন বেতনের প্রান্তিকতা পূরণ করতে হবে না ভিসা রিনিউ করতে। যদিও নতুন অভিবাসন পরিকল্পনা করা হয়েছে নেট মাইগ্রেশনকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসার জন্য।
নতুন পঞ্চদফা পরিকল্পনা অনুযায়ী ব্রিটিশ নাগরিক বিদেশি স্বামী বা স্ত্রীকে আনতে হলে বাৎসরিক নূন্যতম উপার্জন ১৮,৭০০ পাউন্ড হতে বাড়িয়ে ৩৮,৭০০ পাউন্ড করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। যা নূন্যতম আয়ের পূর্বের প্রয়োজনীয়তার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি। এই বাৎসরিক নূন্যতম মজুরি তাদের জন্যও কার্যকর হবে যারা ওয়ার্ক পারমিট ভিসায় ইউকেতে আসতে চান।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, নতুন নিয়ম আগামী বছর হতে কার্যকর হবে, তবে কিভাবে নিয়মগুলো কার্যকর হবে সেই ব্যাপারে সরকার এখন পর্যন্ত পরিষ্কার কোনো নির্দেশনা প্রদান করে নাই। যদিও ভিসা রিনিউ এবং নতুন অ্যাপ্লিকেশন উভয়ের ক্ষেত্রে বেশি আয়ের প্রান্তিকতা প্রযোজ্য কিনা তা সরকার এখনও নিশ্চিত করে নাই।
জোসেফাইন হুইটেকার-আইলমাজ নামের একজন ব্রিটিশ নাগরিক নিজের মতামত জানাতে গিয়ে দ্য স্ট্যান্ডার্ডকে বলেন, ” আমি আসলে খুব বেশি ভীত নতুন এই পঞ্চদফার পরিকল্পনার অংশবিশেষ নিয়ে। আমার বাচ্চারা নিজেরা ব্রিটিশ কিন্তু তারা তাদের বাবার সাথে একই দেশে থাকতে পারবে না আমার যথেষ্ট পরিমান আর্থিক সামর্থ্য না থাকায়। এটা কতটুকু নৈতিক বা মানবিক আইনের ভিতরে তা সরকারের ভেবে দেখা উচিত।”
উল্লেখ্য যে, সরকার জানিয়েছে অদূর ভবিষ্যতে ভিসা পরিবর্তনের সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করবে। সম্পূর্ণ বিবরণ প্রকাশ করার পূর্ব মূহুর্ত পর্যন্ত ব্রিটিশ নাগরিকদের এই বিষয়ে সংশয় রয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
এম.কে
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩