একদিকে করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ব্যস্ত বিশ্বের সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলো, একইসঙ্গে এই ভ্যাকসিনকে কেন্দ্র করে জাতীয় স্বার্থ খুঁজে চলেছে অনেক রাষ্ট্র, যাকে ‘ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ’ বলে উল্লেখ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)।
রয়টার্স সূত্রে জানা যায়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়েসাস গত মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বৈশ্বিক ভ্যাকসিন চুক্তিতে যোগ দেওয়ার জন্য সকল দেশকে সর্বশেষ আহ্বান জানিয়েছেন।
বলা হয়েছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ‘কোভ্যাক্স গ্লোবাল ভ্যাকসিন ফ্যাসিলিটিতে’ যোগ দেয়ার জন্য সময় রয়েছে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ১৯৪টি সদস্য দেশে এ বিষয়ক চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
সংস্থাটি আরও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে, মহামারীটি এখন তরুণদের মাধ্যমে বেশি ছড়াচ্ছে, যাদের মধ্যে অনেকেই জানেন না যে তারা সংক্রামিত। ফলে সতর্কতার অভাবে তারা দুর্বলদের মাঝে রোগটি ছড়িয়ে যাচ্ছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন, ব্রিটেন, সুইজারল্যান্ড এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষার সংস্থাগুলির সঙ্গে চুক্তিতে যাওয়ার জন্য ডব্লুএইচইও’র প্রধান ইতোমধ্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ডাব্লিউএইচও আশঙ্কা করছে এই দেশগুলো যদি একত্রে কাজ না করে তাহলে এদের জাতীয় স্বার্থ বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টা ব্যাহত করতে পারে।
ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে তেদ্রোস বলেন, আমাদের ভ্যাকসিন জাতীয়তাবাদ বন্ধ করতে হবে। বিশ্বব্যাপী যতটুকু সরবরাহ রয়েছে তা একত্রিত করে সুপরিকল্পিত ভাবে কাজ করাই এখন প্রতিটি দেশের জাতীয় স্বার্থ হয়া উচিৎ।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রগুলোকে এই ভ্যাকসিনের ব্যয় এবং গতির কথা উল্লেখ করে বলেছেন যত দ্রুত সম্ভব ডাব্লিউএইচও’র নেতৃত্বাধীন প্রোগ্রামে যোগ দেয়ার জন্য।
রয়টার্সের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, বিশ্বজুড়ে ২১.৯ মিলিয়নেরও বেশি লোক করোনভাইরাসে সংক্রামিত হয়েছেন এবং মারা গেছেন প্রায় ৭ লাখেরও বেশি।
সূত্র: রয়টার্স
রূপান্তর: সানজানা ফারিহা
২১ আগস্ট ২০২০
এনএইচটি