করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন নেওয়া মানুষরা নিজে আক্রান্ত না হলেও তার মাধ্যমে অন্যরা আক্রান্ত হতে পারেন বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন ব্রিটিশ সরকারের উপ প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা জোনাথন ভ্যান ট্যাম।
বিবিসির প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, একজন থেকে আরেকজনের শরীরে ভাইরাস ছড়ানো প্রতিরোধের ক্ষমতা ভ্যাকসিনের আছে কিনা তা নিশ্চিত না হওয়ায় ঝুঁকি থেকে যাচ্ছে। তাই এ ব্যাপারে নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত লকডাউন বিধি অব্যাহত রাখার পরামর্শ দিয়েছেন ভ্যান ট্যাম।
ভ্যাকসিন সাধারণত শরীরে কোনো রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ভ্যাকসিনের প্রতিরোধ শক্তির কারণে সংশ্লিষ্ট রোগটিতে কেউ আক্রান্ত হলেও গুরুতর অসুস্থ হন না। অর্থাৎ ভাইরাসটি শরীরে ঢোকার পরও দুর্বল হয়ে পড়ে। তেমনি, করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণকারী মানুষের শরীরেও ভাইরাসটি আক্রমণ করতে পারবে না বলে আশা করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে ওই ব্যক্তির শরীরে যদি ভাইরাস পৌঁছায় এবং তার সংস্পর্শে যদি ভ্যাকসিন না নেওয়া কেউ আসেন, তবে ভাইরাস ওই ব্যক্তির দেহে ছড়াবে কিনা তা নিয়ে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া যায়নি। আর তা নিয়েই সংশয় ভ্যান ট্যামের।
সানডে টেলিগ্রাফে লেখা এক নিবন্ধে তিনি বলেন, ভ্যাকসিন নেওয়ার পর করোনা ছড়ানোর প্রভাব কী হতে পারে, বিজ্ঞানীরা এখনো সেটি জানেন না। ভ্যাকসিন আশা জাগিয়েছে, তবে দ্রুতই সংক্রমণের হার কমিয়ে আনতে হবে।
ভ্যান-ট্যাম আরও বলেন, কোনও ভ্যাকসিনই শতভাগ কার্যকরী নয়। তাই সুরক্ষার গ্যারান্টি নেই। টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহের ভেতরও কেউ আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। ভ্যাকসিন গ্রহণের পরে অন্তত তিন সপ্তাহ সময় দেওয়া উচিত বয়স্ক মানুষদের শরীরে পুরোপুরি রোগপ্রতিরোধ প্রতিক্রিয়া তৈরি হওয়ার জন্য। আপনি ভ্যাকসিনের দুই ডোজ নেয়ার পরও অন্যকে সংক্রমিত করে থাকতে পারেন। তাহলে কিন্তু সংক্রমণের যে শৃঙ্খল, সেটি চলতে থাকবে।
২৪ জানুয়ারি ২০২১
সূত্র: বিবিসি