‘মুসলিমত্বের’ কারণে টোরি এমপি নুসরাত ঘানিকে বরখাস্ত করা হয়েছে কিনা এই ইস্যুতে স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদকে হোয়াইটহল তদন্তের মুখোমুখি হতে হবে।
দুই সিনিয়র মন্ত্রী, স্বাস্থ্য সচিব সাজিদ জাভিদ এবং শিক্ষামন্ত্রী নাদিম জাহাভি, গনির সমর্থনে কথা বলেছেন এবং বলেছেন যে, তার দাবিগুলো অবশ্যই তদন্ত করা উচিত।
নাদিম জাহাভি বলেন, ‘আমাদের কনজারভেটিভ পার্টিতে ইসলামফোবিয়া বা কোনো ধরনের বর্ণবাদের স্থান নেই। নুসরাত গনি একজন বন্ধু, একজন সহকর্মী এবং একজন উজ্জ্বল সংসদ সদস্য। এটি সঠিকভাবে তদন্ত করতে হবে এবং বর্ণবাদ দূর করতে হবে।’
সাজিদ জাভিদ বলেন, ‘এটি একটি অত্যন্ত গুরুতর বিষয় যার যথাযথ তদন্ত প্রয়োজন। আমি তাকে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ করতে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করব – তার কথা প্রত্যেককে অবশ্যই শুনতে হবে।’
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সোমবার (২৪ জানুয়ারি) গনির দাবি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, যাকে তার মুসলিম বিশ্বাসের কারণে সরকারি পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে বলে রব উঠেছে। কনজারভেটিভ দলের এই এমপি তদন্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, তিনি চান বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হোক।
প্রাক্তন পরিবহন মন্ত্রী নুসরাত গনি বলেন, ২০২০ সালে যখন তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল, তখন একজন সরকারি হুইপ বলেছিলেন যে, তার ‘মুসলিমত্ব’ ‘সহকর্মীদের অস্বস্তিকর করে তুলছিল’।
এটা নিয়ে নুসরতকে উচ্চবাচ্য না করতে হুঁশিয়ারিও দিয়েছিলেন দলের হুইপ। তাকে বলা হয়েছিল, মন্ত্রিত্ব হারানো নিয়ে বেশি উচ্চবাচ্য করলে দল থেকে বহিষ্কারও করা হবে। শুধু তাই নয়, তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও ধ্বংসের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। দলের চিফ হুইপের এমন হুঁশিয়ারির পর এনিয়ে আর কোনো উচ্চবাচ্য করেননি তিনি।
চিফ হুইপ মার্ক স্পেন্সার তার অভিযোগকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ বলে অভিহিত করেন।
গনির দাবি বরিস জনসনের ক্ষমতাসীন দলের মধ্যে ফাটলকে আরো গভীর করেছে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে কয়েকজন কনজারভেটিভ আইনপ্রণেতা জনসনকে পদত্যাগ করার আহ্বান জানিয়েছেন। যদি স্যু গ্রে-এর প্রতিবেদনটি অত্যন্ত সমালোচনামূলক হয়, তাহলে জনসনের বিরুদ্ধে অনাস্থা ভোটের আহ্বান জানানোর পর তার পদচ্যুতি ঘটতে পারে।
২৫ জানুয়ারি ২০২২
এনএইচ