বিশেষ প্রতিনিধি: সিলেটে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে বিশেষ আকর্ষণ ফেঞ্চুগঞ্জ। ‘মিনি কক্সবাজার’ নামে পরিচিত হাকালুকি হাওড়ের জিরো পয়েন্টে প্রতিদিনই বাড়ছে মানুষের আনাগোনা। মানুষের আনাগোনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। আর এই সড়ক দুর্ঘটনাগুলোতে প্রাণ হারানোদের বেশির ভাগই এই এলাকায় ঘুরতে আসা পর্যটকদের। জানা যায়, রাস্তার বেহাল দশা এবং যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাবের কারণেই ঘটছে এসব দুর্ঘটনা।
স্থানীয়দের মুখ থেকে শোনা যায়, সিলেট ও মৌলভীবাজার জেলার সংযোগস্থল এবং দুটি সংসদীয় আসনের মিলনস্থল হওয়ায় দুই সাংসদের কেউই এই রাস্তার নিরাপত্তার দিকে নজর দিচ্ছেন না।
প্রশাসনের কাছে স্থানীয়দের প্রশ্ন, এ এলাকায় আর কত প্রাণ গেলে টনক নড়বে সিলেট সড়ক ও জনপথ বিভাগের (সওজ)।
বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, চলতি মাসে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে ঘটেছে দুই জনের প্রাণহানি। গত ২ আগস্ট সিলেট-মৌলভীবাজার আঞ্চলিক সড়কের পালবাড়ী মির্জাপুর এলাকায় বাস চাপায় নিহত হন মোটরসাইকেল আরোহী শহিদুল আলম (৫০)। শনিবার (১৫ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় পালবাড়ী এওলাছড়া ব্রিজ সংলগ্ন লাইটেসের ধাক্কায় নিহত হন উপজেলার পশ্চিম কর্মধা গ্রামের বাসিন্দা ও পালবাড়ী মোড়ের টং এর দোকানের চা বিক্রেতা দুদু মিয়া (৬০)।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ফেঞ্চুগঞ্জ পালবাড়ী থেকে রাজনগর উপজেলার চেলার চক বাজার পর্যন্ত এই সড়কের সঠিক দিকনির্দেশনা সাইন বা মার্কিং না থাকায় সড়কে বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে।
টিভিথ্রির প্রতিনিধির সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় জনসাধারণের অনেকে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জ টোল বক্সের আগে প্লাস্টিকের চেয়ার নিয়ে প্রতিদিন ৩/৪ পুলিশ সদস্য বসে গল্প গুজব করতে দেখা যায়। এমনকি অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের পিক আপ ভ্যান ও ট্রাক থামিয়ে টাকা তুলতেও দেখা যায় তাদের।
একজন পিক আপ ভ্যানের চালকের সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বললে তিনি জানান, পুলিশ সদস্যরা মামলার ভয় দেখিয়ে টাকা তোলেন। আমরা নিজ ইচ্ছায় যদি টাকা না দেই তাহলে মামলার কাগজ হাতে ধরিয়ে দেয়।
১৭ আগস্ট ২০২০
মোহায়মীন করিম চৌধুরী, বিশেষ প্রতিনিধি (টিভিথ্রি বাংলা)
এমকেসি/এনএইচটি