আজ রাতেই দেশে ফেরার কথা ছিল সাকিবের। দেশের উদ্দেশ্যে রওনাও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করেই তাকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে দেশে ফিরলে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেয়া যাবে না। তাই লস এঞ্জেলেস থেকে দুবাই এসেও সাকিবের দেশে আসা এখন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। তাকে থাকতে হচ্ছে সবুজ সংকেতের অপেক্ষায়। যতটা জানা গেছে হয়তো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ দেখা নাও দেখা যেতে পারে তাকে। আর সেটা হলে দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্টে খেলা হবে না সাকিবের। হবে না দেশের মাটিতে বিদায় নেয়ার স্বপ্ন পুরণ ।
এর আগে গত ভারত সফরে টেস্ট থেকে বিদায়ের ঘোষণা দেন সাকিব। মিরপুরে আগামী ২১শে অক্টোবর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ক্যারিয়ার শেষ টেস্ট খেলার ইচ্ছা প্রকাশ করেন তিনি। তবে এর আগে বিসিবির কাছে দেশে ফেরার পর নিরাপত্তা আর দেশ থেকে বের হওয়ার নিশ্চয়তা চান সাকিব। তবে বিসিবি প্রথমে জানিয়ে দেয়, ব্যক্তি সাকিবকে নিরাপত্তা দিতে পারবে না তারা।
এরপর ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদও জানান শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নিরাপত্তা পাবেন সাকিব, ব্যক্তি হিসেবে নয়। তবে পরবর্তীতে তিনি জানান, সাকিবের দেশে ফেরা ও বের হওয়ার নিশ্চয়তা দেওয়া হবে। মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলতে পারবেন তিনি। পরে বিসিবিও জানায় মিরপুরে শেষ টেস্ট খেলবেন সাকিব।
তবে গত কয়েকদিন ধরে সাকিবকে স্বৈরাচারের দোসর উল্লেখ করে তাকে মিরপুরে খেলতে না দেওয়ার দাবি জানায় ছাত্র জনতার একটি বড় অংশ। মিরপুর স্টেডিয়ামে তার বিরুদ্ধে স্লোগান দেওয়া হয়। দেওয়ালে তার বিরুদ্ধে লেখা হয় নানা স্লোগান। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাকিবের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো হয়।
সবমিলিয়ে তৈরি হয় ঘোলাটে পরিস্থিতি। এমন অবস্থায় সরকার থেকে আপাতত সাকিবকে দেশে ফিরতে না করা হয়েছে। শেষ পর্যন্ত সাকিবের ভবিষ্যৎ কি হবে সেটা হয়তো আজ বিকেল নাগাদ জানা যাবে। যদিও গতকাল রাতে ঘোষিত প্রথম টেস্টের দলে সাকিবকে রেখেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড।
মূলত গত জাতীয় নির্বাচনে মাগুরা-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রপতি সংসদ বিলুপ্ত ঘোষণা করলে সংসদ সদস্য পদ হারান তিনি। আন্দোলনে সমর্থন না করায় তখন থেকেই সাকিবের উপর ক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।
এম.কে
১৭ অক্টোবর ২০২৪