তিন বছর পর সব বিষয়ে পূর্ণ সময় এবং পূর্ণ নম্বরে পরীক্ষা দেওয়ার চ্যালেঞ্জ নিয়ে চলতি বছরের মাধ্যমিকের শিক্ষার্থীরা গতবারের চেয়ে ভালো ফল দেখালেও তলানি থেকে উঠতে পারেনি সিলেট বোর্ড।
দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এই বোর্ডে টানা তৃতীয়বারের মত দেশের নয় সাধারণ বোর্ডের মধ্যে সবচেয়ে বাজে ফল এনেছে।
সাধারণ ৯ বোর্ড, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ড মিলিয়ে সারা দেশে গড়ে যেখানে ৮৩ দশমিক ০৪ শতাংশ শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে, সবচেয়ে ভালো ফল করা যশোর বোর্ডে যেখানে ৯২ দশমিক ৩৩ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে, সেখানে সিলেটে পাসের হার ৭৩ দশমিক ৩৫ শতাংশ, যা দেশের সর্বনিম্ন।
সারা দেশে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে এবার ১ লাখ ৮২ হাজার ১২৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে। ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি ৪৯ হাজার ১৯০ জন পূর্ণ জিপিএ, অর্থাৎ পাঁচে পাঁচ পেয়েছে। সিলেট বোর্ডে এই সংখ্যা সারা দেশে সবচেয়ে কম, ৫ হাজার ৪৭১ জন।
আনুপাতিক হার বিচার করলে সারা দেশে উত্তীর্ণের মোট সংখ্যার ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ জিপিএ-৫ পেয়েছে। ঢাকায় এই হার ১৪ দশমিত ৩৬ শতাংশ। আর সিলেটে ৬ দশমিক ৮৩ শতাংশ।
এর আগে ২০২৩ ও ২০২২ সালেও সিলেট বোর্ডের অবস্থান ছিল সাধারণ বোর্ডগুলোর মধ্যে সবার নিচে।
২০২৩ সালে এ বোর্ডে পাসের হার ছিল ৭৬ দশমিক ০৬ শতাংশ, ২০২২ সালে ছিল ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ।
এর কারণ খুঁজতে গেলে বোর্ড কর্মকর্তা এবং শিক্ষকরা বললেন শিক্ষক স্বল্পতা, মানবিকের শিক্ষার্থীদের সংখ্যাধিক্য এবং গণিত ও ইংরেজির দুর্বলতার কথা।
চলতি বছর সিলেট বোর্ড থেকে মানবিক বিভাগে ৭৭ হাজার ৫৪৭ জন, বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ২৪ হাজার ১৫৩ জন এবং ব্যবসায় শিক্ষা থেকে ৭ হাজার ৩৭৩ জন শিক্ষার্থী এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় অংশ নেয়।
ফলাফল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, মানবিকে পাসের হার ৬৮ দশমিক ৫০ শতাংশ, বিজ্ঞানে ৮৮ দশমিক ১৪ শতাংশ এবং ব্যবসায় শিক্ষায় ৭৫ দশমিক ৯৭ শতাংশ।
এম.কে
১৩ মে ২০২৪