28.6 C
London
June 18, 2025
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

মানবাধিকার আইন সংস্কারে যুক্তরাজ্যের ঘোষণা, জনগণের আস্থা ফেরাতে উদ্যোগ

যুক্তরাজ্যের বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ জানিয়েছেন, মানবাধিকারের ইউরোপীয় সনদ সংশোধনের উদ্যোগ নিচ্ছে ব্রিটেন, যা কার্যকর হবে নিজ দেশেও এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও। তার মতে, আইনের শাসনের প্রতি জনগণের আস্থা নষ্ট হচ্ছে, যা পুনরুদ্ধার জরুরি।

স্ট্রাসবুর্গে ইউরোপ পরিষদে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, সরকার এই সনদ রক্ষা করতে চায়, কিন্তু তা যেন অপরাধীদের ঢাল হয়ে না দাঁড়ায়, সে বিষয়টি নিশ্চিত করাও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইভেট কুপার জানিয়েছেন, শারীরিক ও মানসিক লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে যে অধিকার রয়েছে, তা আদালত কীভাবে প্রয়োগ করছে, তা খতিয়ে দেখা হবে।

সম্প্রতি একটি তথ্যচিত্রে প্রকাশ পায়, ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত দুই ব্রাজিলীয় নাগরিককে নিজ দেশে কারাগারের ঠাসাঠাসি অবস্থার অজুহাতে যুক্তরাজ্যে থাকতে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা মানবাধিকার সনদের ৩ নম্বর অনুচ্ছেদের অপব্যবহার নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে।

সরকার ইতোমধ্যে ৮ নম্বর(আর্টিকেল এইট) অনুচ্ছেদ – পারিবারিক জীবনের প্রতি সম্মান – আদালতে কীভাবে প্রয়োগ হচ্ছে, তা পর্যবেক্ষণ করছে। কারণ দেখা যাচ্ছে, অনেক অপরাধী এই ধারা ব্যবহার করে নির্বাসনের আদেশ ঠেকাচ্ছে।

শাবানা মাহমুদ বলেন, “আমরা অধিকার সংরক্ষণ করতে চাই, কিন্তু সেটা এমনভাবে যাতে সাধারণ মানুষ মনে করে, এই অধিকার আইন মানা মানুষের জন্য, আইন ভাঙা লোকের জন্য নয়।”

তিনি বলেন, সনদটি যেন সময়োপযোগী থাকে, সে জন্য পরিবর্তন জরুরি। এটি মানবাধিকার দুর্বল করার জন্য নয়, বরং আরও গ্রহণযোগ্য ও কার্যকর করার জন্য।

বিচারমন্ত্রী জানান, “আদালতের ওপর রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব চাপিয়ে দিলে বিচারব্যবস্থাও দুর্বল হয়, সংসদও দুর্বল হয়। তাই এটি রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্মিলিত দায়িত্ব।”

তিনি বলেন, “কোনো বিদেশি নাগরিক গুরুতর অপরাধ করলে, তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়া উচিত। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায়, তারা পরিবারের অধিকার দেখিয়ে যুক্তরাজ্যে থাকার সুযোগ নিচ্ছে, এমনকি যখন তারা সেই পরিবারকেই অবহেলা বা ক্ষতি করেছে।”

তার মতে, “কারাগারে থাকা মানেই কিছু সুযোগ হারানো। কিন্তু এখন এমন বন্দিরাও ব্যক্তিগত অধিকার দেখিয়ে, নিরাপত্তার স্বার্থে আলাদা কক্ষে রাখা ঠেকানোর চেষ্টা করছে। এই ধরনের অপব্যবহার শুধু আইনের ব্যাখ্যা নয়, মানুষের আস্থাও ধ্বংস করে।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে হলে তার প্রতি জনগণের আস্থা ফিরিয়ে আনা জরুরি। আর সে কাজ শুধু আদালতের নয়, আমাদের সকলের।”

সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান

এম.কে
১৯ জুন ২০২৫

আরো পড়ুন

প্রায় ৭ হাজার বেনিফিট অ্যাকাউন্ট বন্ধের ঝুঁকিতে

অনলাইন ডেস্ক

যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞা দিলো ইসরায়েলি বসতি আন্দোলনের ‘গডমাদার’কে

যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিবেশমন্ত্রীর মতবিনিময়