16.4 C
London
September 19, 2024
TV3 BANGLA
বাংলাদেশ

মানবাধিকার লঙ্ঘন তদন্তে জাতিসংঘে ড. ইউনূসের চিঠি, আসছে তথ্যানুসন্ধানী দল

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন ও ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থান ঘিরে গত ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা তদন্তে সহায়তা চেয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চিঠি পেয়েছে জাতিসংঘ। কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং বা তথ্যানুসন্ধানী দল নিযুক্ত করা হবে। দলটির কাজের ক্ষেত্রে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছে সরকার।

আজ শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভা থেকে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্কের মুখপাত্র রাভিনা সামদাসানি এক সংবাদ বিবৃতিতে এসব তথ্য জানান।

রাভিনা সামদাসানি বলেন, বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার নিরপেক্ষ ও স্বাধীন তথ্যানুসন্ধানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ পেয়েছেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। মানবাধিকার লঙ্ঘন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ক্ষমতার অপপ্রয়োগের বিষয়ে প্রতিবেদনের পাশাপাশি এসব লঙ্ঘনের মূল কারণ বিশ্লেষণ, ন্যায়বিচার, জবাবদিহি ও দীর্ঘমেয়াদি সংস্কারের সুপারিশের লক্ষ্যে হাইকমিশনারের দপ্তর আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে একটি তথ্যানুসন্ধানী দল নিযুক্ত করবে। তথ্যানুসন্ধানী দলটি কাজের ক্ষেত্রে পূর্ণ সহযোগিতার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, জাতিসংঘের একটি অগ্রবর্তী দল গত সপ্তাহে (২২-২৯ আগস্ট) বাংলাদেশ সফর করে। সফরকালে সাম্প্রতিক বিক্ষোভের আটক বা আহত ছাত্রনেতা, অন্তর্বর্তী সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি, পুলিশ ও সশস্ত্র বাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক দল, সংখ্যালঘু ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করেছে এই প্রতিনিধিদল।

অন্তর্বর্তী সরকারের অনুরোধে প্রতিনিধিদলটি বাংলাদেশের বিভিন্ন বৈঠকে সাম্প্রতিক সহিংসতা ও অস্থিরতার প্রেক্ষাপটে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বল প্রয়োগের তদন্তের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেছে। তারা নাগরিক পরিসর, সত্য ও ন্যায়বিচারের প্রয়োজনীয়তা, অভিঘাত প্রশমন, ক্ষতিপূরণ, বিরোধ নিষ্পত্তির পাশাপাশি সংস্কারের প্রক্রিয়ায় মানবাধিকারের অন্য পদ্ধতিগুলোর প্রয়োগসহ বিস্তৃত ক্ষেত্রে জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর টেকসই উপায়ে কীভাবে সহায়তা করতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা করেছে।

গুমবিরোধী আন্তর্জাতিক সনদে বাংলাদেশের পক্ষভুক্ত হওয়ার ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছেন হাইকমিশনার ফলকার টুর্ক। একই সঙ্গে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার দ্বারা গুম হওয়া ব্যক্তিদের খোঁজে পাঁচ সদস্যের একটি জাতীয় তদন্ত কমিশন গঠনের ঘোষণাকে স্বাগত জানান তিনি।

সামদাসারি বলেন, বাংলাদেশে গুমের দীর্ঘ ও বেদনাদায়ক ইতিহাস রয়েছে, যা সুরাহার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনারের দপ্তর ও জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রক্রিয়া জোরালোভাবে আহ্বান জানিয়ে আসছে। বাংলাদেশের গঠিত জাতীয় তদন্ত কমিশনের কাজে সহায়তার জন্য তারা প্রস্তুত। এই কাজ ভুক্তভোগী ও তাদের পরিবারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পরামর্শে হওয়া উচিত। এই প্রক্রিয়া আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মানদণ্ডের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ হওয়া উচিত, যার মধ্যে গুম হওয়া লোকজনের সন্ধানের নির্দেশনা যুক্ত রয়েছে।

বিবৃতিতে বলা হয়, গণতন্ত্রকে পুনরুজ্জীবিত করতে, জবাবদিহি, পুনর্মিলন ও বাংলাদেশের সব মানুষের জন্য মানবাধিকার সমুন্নত রাখার গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে দেশটির অন্তর্বর্তী সরকার ও জনগণকে সমর্থন করার জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক দপ্তর উন্মুখ হয়ে আছে।

এম.কে
৩০ আগস্ট ২০২৪

আরো পড়ুন

ওসি প্রদীপ ও তার স্ত্রীর নামে দুদকের মামলা

অনলাইন ডেস্ক

ভারতের নতুন তিন প্রকল্পে পানি আরো কমবে বাংলাদেশের

দেড় মাস বয়সে নরওয়ে যাওয়া এলিজাবেথ মায়ের কোলে ফিরলেন ৫০ বছর পর