এক গবেষণায় দেখা যায় মানুষের মলমূত্র থেকে তৈরি সার যথেষ্ট নিরাপদ। এমনকি বেশ কিছু দেশে এটি কৃত্রিম সারের বাজারের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত দখল করে নিতে পারে। এমন সময় এই গবেষণা ফলাফল পাওয়া গেলো যখন কৃষকরা জলবায়ু পরিবর্তন এবং ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে অতিরিক্ত রাসায়নিক সারের মূল্য দিতে বাধ্য হচ্ছেন।
বিজ্ঞানীরা মানুষের বর্জ্যে ৩১০টি রাসায়নিক উপাদান অনুসন্ধান করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে রাবার এডেসিভ এমনকি পতঙ্গনাশকও। এসব রাসায়নিক দ্রব্যের মাত্র সাড়ে ৬ শতাংশ পাওয়া গেছে মানুষের মল-মূত্রে। যা তুলনায় অনেক কম।
বিজ্ঞানীরা জানান, ব্যথানাশক ইবুপ্রফেন এবং মন শান্ত করার ওষুধ কারবামাজপাইন অতি অল্প পরিমাণে পাওয়া গেছে মানুষের বর্জ্যে। তবে এই উপাদান একটি ট্যাবলেটের পরিমাণ মানব শরীরে প্রবেশ করাতে হলে মানুষকে এই সার দিয়ে চাষ করা পাঁচ লাখ বাঁধাকপি খেতে হবে।
স্টুডগার্ড-এর ইউনিভার্সিটি অব হোহেনহেইমের গবেষক ফ্রাঞ্জিস্কা হাফনের বলছেন, মানুষের মল-মুত্র নাইট্রোজেন সার হিসেবে খুবই নিরাপদ ও কার্যকর। এর দ্বারা বিষক্রিয়া ছড়ানোর মতো কোন উপাদান তারা খুঁজে পাননি। জার্মান বিজ্ঞানীরা আরো বলছেন, আধুনিক যুগে এমনিতেও অ্যামোনিয়া এবং নাইট্রেট তৈরিতে মানুষের মূত্র ব্যবহার করা হয়।
সূত্র: স্কাই নিউজ, এনডিটিভি