মিয়ানমারের জান্তামুক্ত এলাকায় ঐক্য সরকারের কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়। রোববার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে মিয়ানমারের স্থানীয় গণমাধ্যম ইরাবতি। গত ৪ নভেম্বর সাগায়িং অঞ্চলের কাওলিন টাউনশিপ মুক্ত হয়। তখন থেকেই সেখানে বেসামরিক সরকার কার্যক্রম চালিয়েছে বলে উল্লেখ করেছে সশস্ত্র বাহিনী পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) ও সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠী।
ইরাবতির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এলাকাটিতে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে এক হাজার ১৮০ জন বেসামরিক কর্মকর্তা। তারা আগে থেকেই জান্তা সরকারের আনুগত্য ছেড়ে চলে এসেছে এবং সকলেই সিভিল ডিসওবিডিয়েন্স ম্যুভমেন্টের সদস্য।
এদিকে সোমবার কারেন লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও পিপলস ডিফেন্স ফোর্স (পিডিএফ) জানিয়েছে, তারা বাগো অঞ্চলের মোনে এলাকার কাইয়াউকি টাউনশিপ দখল করে নিয়েছে। কারেন ন্যাশনাল ইউনিয়ন (কেএনইউ) জানিয়েছে, তারা শহরটি পুরোপুরি তাদের দখলে রয়েছে।
ইরাবতির অপর এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় জান্তা সেনারা পক্ষত্যাগ, নিহত হওয়া এবং গোলাবারুদ ফেলে পালিয়ে যাওয়া বা প্রতিরোধ যোদ্ধাদের কাছে আত্মসমর্পণ করায় জান্তাদের সেনা সংকট দেখা দিয়েছে। এজন্য জান্তা সরকার ইতোমধ্যে ঘোষণা দিয়েছে, যারা যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে গেছে তারা যদি ব্যারাকে ফিরে আসে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না। তাদের অনুপস্থিতির সময়টাকে ‘অনুমোদন ছাড়া ছুটি’ হিসেবে গণ্য করা হবে।
এ ব্যাপারে মিয়ানমার সেনাবাহিনীতে কর্মরত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন সার্জেন্ট বলেছেন, ইতোমধ্যে অনেক সৈন্য পক্ষত্যাগ করেছে। এখনো যারা সেনাবাহিনীতে কর্মরত আছেন, তাদের অনেকেই পালাতে চায়। যারা পক্ষত্যাগ করেছে তারা আর ফিরে আসবে না।
এম.কে
০৬ ডিসেম্বর ২০২৩