বাংলাদেশ মোবাইল গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমপিসিএ) পক্ষ থেকে এক বার্তায় জানানো হয়েছে, বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমানার মধ্যেও একটি বড় অঞ্চলজুড়ে মিয়ানমারের মোবাইল নেটওয়ার্ক পাওয়া যায়। এতে করে একজন আরেকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনুপ্রবেশ করছে বলে জানা গেছে।
শনিবার ১০ ফেব্রুয়ারি বিএমপিসিএ সভাপতি বলেন, বাংলাদেশ-মিয়ানমারের ঘুমধুম সীমান্তে গত এক সপ্তাহ ধরে চলছে গোলাগুলি। এরইমধ্যে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে তাদের বর্ডার গার্ড বিজেপির প্রায় ৩৩০ জন সদস্য অস্ত্রসহ বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে। অথচ সীমান্তে আন্তর্জাতিক টেলিকম ইউনিয়ন আইটিইউ’র আইন ভঙ্গ করে মিয়ানমার পোস্টস অ্যান্ড টেলিকমিউনিকেশন্স বা এমপিটি মোবাইল সিমের কাভারেজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে বিস্তৃত করা হয়েছে।
পুরানো রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশের সময়ে একই সমস্যা সংকট আরও বাড়িয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা অনুপ্রবেশ করার সময় থেকে আমরা বার বার বিষয়টি সম্পর্কে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি, মানববন্ধন পর্যন্ত করেছি এই নেটওয়ার্ক বন্ধের জন্য। কিন্তু এখনও মিয়ানমার সরকারের মোবাইল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
বর্তমান সময়ে চরম সীমান্ত অস্থিরতার মধ্যেও মিয়ানমারের মোবাইলে অপারেটরদের নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ সীমান্তে চলমান রয়েছে। এই নেটওয়ার্ক চলমান থাকার কারণে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী এবং সাধারণ জনগোষ্ঠী বাংলাদেশে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করার মাধ্যমে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করছে। সরকার, গোয়েন্দা সংস্থা এবং বিটিআরসি এ ব্যাপারে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে মিয়ানমারের সব মোবাইল নেটওয়ার্ক বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় বন্ধ করে দেয়া একান্ত আবশ্যক বলে জানান তিনি।
বিএমপিসিএ সভাপতি বলেন, ‘আমরা চাই এই সতর্ক বার্তাটি সরকারের কাছে পৌঁছে যাক। ঢাকায় বসে নানা অনুষ্ঠান না করে টেলিকমিউনিকেশন প্রতিমন্ত্রীর উচিত সীমান্তে যাওয়া এবং সরেজমিনে দেখা অনুপ্রবেশের পেছনে মোবাইল নেটওয়ার্ক কীভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এ ব্যাপারে এখনই সতর্ক না হলে পরবর্তীতে ভুগতে হবে।’
এম.কে
১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪