মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলাকালে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে একদিনে আরও অন্তত ৩৯ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দেশটির বাণিজ্যিক রাজধানী হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের গুলিতে ২২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
রোববার (১৪ মার্চ) মিয়ানমারের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর রক্ষক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। অ্যাডভোকেসি গ্রুপ অ্যাসিসট্যান্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স (এএপিপি) জানিয়েছে, এদিন নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে অন্তত ৩৯ বিক্ষোভকারী নিহত হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে চলমান বিক্ষোভে নিহতের সংখ্যা ১০০ ছাড়িয়েছে।
রোববার সবচেয়ে বেশি প্রাণহানির ঘটনা ঘটে প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনের হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায়। সেখানে সংঘর্ষের সময় জান্তাবিরোধীরা লাঠি ও ছুরি হাতে আত্মরক্ষার চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালায় নিরাপত্তা বাহিনী। এতে অন্তত ২২ জন নিহত হয়। এছাড়া আহতদের মধ্যেও তিন জনের আশঙ্কাজনক।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এক চীনা ব্যবসায়ীর ওপর হামলা করার পর এলাকাটিতে সামরিক আইন জারি করে জান্তা সরকার। সেনাবাহিনীকে চীন সমর্থন দিচ্ছে বলে বিক্ষোভকারীদের ধারণা।
এদিকে, দেশটিতে চীন দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, হ্লায়াইং থারইয়া এলাকায় গার্মেন্টস কারখানায় অজ্ঞাতপরিচয় হামলাকারীদের অগ্নিসংযোগে অনেক চীনা কর্মী আহত হয়েছেন এবং আটকা পড়েছিলেন। তারা মিয়ানমারকে চীনা সম্পত্তি ও নাগরিকদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
হ্লায়াইং থারইয়া হাসপাতালের এক কর্মকর্তা জানান, নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। গুরুতর আহত লোকজনকে এখনও হাসপাতালে নিয়ে আসা হচ্ছে।
মিয়ানমারে গত ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ নেয় সামরিক বাহিনী। প্রতিবাদে দুই দিন পর থেকে নাগরিক অসহযোগ আন্দোলন শুরু করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সাধারণ মানুষ।
১৫ মার্চ ২০২১
আন্তর্জাতিক ডেস্ক