দুবাই বিমানবন্দরে মুখে ট্যাটু থাকার অজুহাতে এক ব্রিটিশ নাগরিককে দেশে প্রবেশ করতে না দিয়ে ফেরত পাঠানো হয়েছে। অপমানজনক এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, একজন বৈধ ব্রিটিশ পাসপোর্টধারীর প্রতি এমন আচরণ কতটা গ্রহণযোগ্য।
চেশায়ারের ৩৪ বছর বয়সী জর্ডান হাওম্যান জানান, তিনি তার সঙ্গিনী থেরেসা ও কন্যাকে নিয়ে এক সপ্তাহের বিলাসবহুল ছুটিতে দুবাই যাচ্ছিলেন। দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা তাকে থামিয়ে আলাদা করে নেন এবং তার পাসপোর্ট কেড়ে নেন।
তিনি বলেন, “আমরা ইলেকট্রনিক গেট ব্যবহার করেছিলাম, তাই পাসপোর্টে স্ট্যাম্প দেওয়া হয়নি। অফিসার সেটিকে অজুহাত বানিয়ে আমার পাসপোর্ট ছিনিয়ে নেয়।”
জর্ডানকে চার ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়, এরপর ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা তাকে জানায় যে তার মুখের ট্যাটুর কারণে তাকে দেশে ঢুকতে দেওয়া হবে না। তাকে জানানো হয়, তার চেহারা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ এবং তিনি দুবাইয়ে অবাঞ্ছিত।
“একজন কর্মকর্তা আমাকে সরাসরি বললেন, ‘তোমার মুখের ট্যাটুর জন্যই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না’। এটা ছিল সম্পূর্ণ বৈষম্যমূলক এবং আমার ব্রিটিশ পাসপোর্টের মর্যাদাকে অসম্মানিত করার মতো ঘটনা,” বলেন জর্ডান।
এর আগেও দুবার তিনি দুবাই ভ্রমণ করেছেন এবং ট্যাটুর কারণে কোনো সমস্যায় পড়েননি। কিন্তু এইবার তাকে সম্পূর্ণভাবে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ভোরের ফ্লাইটে ম্যানচেস্টারে ফেরত পাঠানো হয়।
এই ঘটনায় জর্ডানের £৩,০০০ পাউন্ডের বিলাসবহুল ছুটি নষ্ট হয়েছে, তার সঙ্গিনী কান্নায় ভেঙে পড়েছেন, এবং পরিবারের ভ্রমণ পরিকল্পনা চূড়ান্তভাবে ব্যাহত হয়েছে।
জর্ডান বলেন, “আমি ভালো মানুষ, কারও ক্ষতি করি না। শুধু আমার মুখের উপর কিছু ডিজাইনের কারণে আমাকে যেভাবে অপমান করা হয়েছে, তা মেনে নেওয়া যায় না। দুবাই ছিল আমার প্রিয় দেশ, কিন্তু এখন আর কখনও সেখানে যাব না।”
বিমানবন্দরে থাকা অবস্থায় তিনি নিজের কন্যার সঙ্গে দেখা করতেও পারেননি বলে জানান।
ঘটনার ব্যাপারে দুবাইয়ের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
সূত্রঃ দ্য সান
এম.কে
২২ জুন ২০২৫