যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন মন্ত্রী রবার্ট জেনরিক নেট মাইগ্রেশন সংখ্যা হ্রাস করতে “মৌলিক সংস্কারের গুরুত্বপূর্ণ প্যাকেজ” সামনে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, মাইগ্রেশন সম্পর্কিত বিষয় সীমাবদ্ধতার ভিতরে আনতে যে কোনো ভিসার ডিপেন্ডেন্টের সংখ্যার উপর একটি ক্যাপ প্রবর্তন করা জরুরি। বিভিন্ন টোরি সদস্যদের প্রশ্নবাণের প্রতি উত্তরে তিনি এইসব বিষয় সামনে নিয়ে আসেন। তবে নেট মাইগ্রেশনের নিয়ন্ত্রনহীনতার কারণে কনজার্ভেটিভ দলের সাংসদেরা হতাশা ব্যক্ত করেন বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। পরিসংখ্যান বিভাগের তথ্যানুসারে ২০২২ সালে নেট মাইগ্রেশন একটি রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছেছিল।
সোমবার, প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেছেন, নেট মাইগ্রেশনের মাত্রা খুব বেশি এবং সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। তবে কি পদক্ষেপ নেয়া হবে সেই বিষয়ে বিশদ কোনো আলোচনা তিনি করেন নাই। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কিছু নির্দিষ্ট শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ডিপেন্ডেন্ট আনা বন্ধ করতে সরকার পদক্ষেপ নিয়েছে, যা নেট মাইগ্রেশনের গতি কমাতে সাহায্য করেছে।
ক্রিসমাসের আগে ইমিগ্রেশন নিয়ে নতুন পরিকল্পনা ঘোষণা করা হবে কিনা জানতে চাইলে মিঃ জেনরিক বলেন, যদি সম্ভব হত তাহলে গত ক্রিসমাসের আগেই আমি সকল জরুরি পরিকল্পনা হাউস অব কমন্সে আনতাম। তবে এখনও আশাকরি দেরি হয় নাই। আমরা দ্রুতই মূল প্যাকেজটি সামনে নিয়ে আসার চেষ্টা চালিয়ে যাবো।
তিনি জানান, নেট মাইগ্রেশন হ্রাস করার অর্থ হ’ল কঠিন পদক্ষেপ গুলো গ্রহণ করা যা অনেকে নাও পছন্দ করতে পারেন।
কনজারভেটিভ দলের ডেপুটি চেয়ারম্যান লি অ্যান্ডারসন এবং এমপি মার্কো লংহি দুজনেই নেট মাইগ্রেশনে ক্যাপের আহ্বান জানিয়েছেন। মিঃ অ্যান্ডারসন বলেছেন নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী কাজ করে যাওয়া উচিত সরকারের।
লেবারের ছায়া স্বরাষ্ট্রসচিব ইয়ভেট কুপার সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, মিঃ জেনরিক গত ১৩ বছর ধরে ইমিগ্রেশন সিস্টেমের দায়িত্বে ছিলেন। তখন তিনি কি ব্যবস্থা নিয়েছেন তা প্রশ্ন করা উচিত। কোন সিস্টেমে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ দেয়া হয়েছে কিংবা তারা এসে কি কাজ করছে এইসব বিষয় নিয়ে অনেক ধোঁয়াশা রয়েছে। এইসব প্রশ্নে তিনি হয়ত ক্ষুব্ধ হবেন কিন্তু বাস্তবতা অনেক তিক্ত হয়।
সরকার দলীয় সাংসদ স্যার এডওয়ার্ড লেই বলেন, মিষ্টি বিতরণের মতো কেয়ার ভিসা বিতরণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্যখাত একটি জরুরি সেবা খাত। বিদেশি কর্মীদের এনে তাদের ঠিক মতো ট্রেনিং করানো হয় নাই।তাদের যত্ন নেয়া হয় নাই। এই বিষয়গুলো আমাদের ভবিষ্যতে ভুগাতে পারে।
সংসদে বিতর্কের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ১০ নং ডাউনিং স্ট্রিটের মুখপাত্র বলেন, ” আমরা গুরুত্বপূর্ণ বিতর্কের বিষয়ে এমপিদের কথাগুলোকে সবসময় মূল্যায়ন করি। তারা যা বলেছেন তা আমরা মনোযোগ দিয়ে শুনেছি।
উল্লেখ্য যে যুক্তরাজ্যের নেট মাইগ্রেশনের নিয়ে সুনাক সরকার মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছে। ছোট নৌকা দিয়ে আসা অবৈধ অভিবাসীদের আটকানোর জন্য রুয়ান্ডা স্কিম আদালত কর্তৃক বাতিল হবার পর নতুন চাপে পড়েছে সরকার।
সূত্রঃবিবিসি
এম.কে
০১ ডিসেম্বর ২০২৩