বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত রেস্তোরাঁ ম্যাকডোনাল্ডসের কোয়ার্টার পাউন্ডের হ্যামবার্গার খেয়ে যুক্তরাষ্ট্রে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অন্তত ৪৯ জন। ওই বার্গারে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি ছিল বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় আজ মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এ তথ্য জানিয়েছে।
স্বাস্থ্য-বিষয়ক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ম্যাকডোনাল্ডসের হ্যামবার্গার খেয়ে ১০টি অঙ্গরাজ্যের কমপক্ষে ৪৯ জন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এদের বেশির ভাগই কলোরাডো এবং নেব্রাস্কা অঙ্গরাজ্যের।
সিডিসি এক বিবৃতিতে বলেছে, যারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন, তাদের অধিকাংশই ম্যাকডোনাল্ডসের কোয়ার্টার পাউন্ডের হ্যামবার্গার খেয়েছিলেন। হেমোলাইটিক ইউরেমিক সিনড্রোমে আক্রান্ত এক শিশুসহ ১০ জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হেমোলাইটিক ইউরেমিক সিনড্রোম একটি গুরুতর অবস্থা, যা কিডনির রক্তনালিগুলো ক্ষতিগ্রস্ত করে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কলোরাডোতে একজন বয়স্ক ব্যক্তি মারা গেছেন।
তবে ঠিক কোনো উপাদানে ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার প্রাদুর্ভাব ঘটেছে তা এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ। তবে তদন্তকারীরা প্রাথমিক পর্যায়ে গরুর মাংসের প্যাটি ও কুচিকরে কাটা পেঁয়াজের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাচ্ছে। যার ফলে আক্রান্ত রাজ্যের রেস্তোরাঁগুলো থেকে এ দুটি উপাদান সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, আক্রান্ত সমস্ত ব্যক্তিদের শরীরে ই-কোলাই নামক একটি ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে এবং এই ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণগুলো ম্যাকডোনাল্ডসের বার্গার খাওয়ার পর থেকেই শুরু হয়েছে বলে রিপোর্ট জানিয়েছে।
এ বিষয়ে একটি ভিডিও বার্তায় ম্যাকডোনাল্ডসের যুক্তরাষ্ট্র শাখার প্রেসিডেন্ট জো এর্লিংগার জানিয়েছেন, ‘খাদ্য নিরাপত্তা আমার এবং ম্যাকডোনাল্ডসের প্রত্যেকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বেছে নেওয়া অঙ্গরাজ্যগুলোতে কোয়ার্টার পাউন্ডারে ব্যবহৃত স্লিভড ওনিওন গুলোকে সক্রিয়ভাবে অপসারণের পদক্ষেপ নিয়েছি। আমরা নির্বাচিত অঙ্গরাজ্যগুলোর রেস্তোরাঁগুলো থেকে অস্থায়ীভাবে কোয়ার্টার পাউন্ডের সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’
সিডিসি আরও জানিয়েছে, অসুস্থ ব্যক্তিদের কোয়ার্টার পাউন্ডের সেবনের পর ডায়রিয়া, ১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর এবং বমিসহ বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিয়েছে। লক্ষণগুলো সাধারণত সংক্রমণের তিন থেকে চার দিন পরে শুরু হয় এবং বেশির ভাগ ব্যক্তি চিকিৎসা ছাড়াই পাঁচ থেকে সাত দিনের মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেন।
সূত্রঃ ফক্স ৫৯
এম.ক
২৪ অক্টোবর ২০২৪