ব্রিটেনের শীর্ষস্থানীয় বৈদেশিক নীতি নির্দেশক চ্যাথাম হাউসের মহাপরিচালক রবিন নিবল্টের প্রতিবেদনটি লন্ডনে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের প্রথম সভার ৭৫ তম বার্ষিকীতে জানায়, ইউকে যদি বিদেশী নীতি সম্পর্কে ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে নিজেকে দাড় করানোর চেষ্টা করে তবে তারা ভুল করবে।
কারণ অনেক ক্ষেত্রেই তাদের ইইউর সহযোগিতা প্রয়োজন। সাইবারসিকিউরিটি, বিশ্ব স্বাস্থ্য ও মানবাধিকারের একটি প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশ করে।
যুক্তরাজ্যকে ব্যক্তিগত গৌরব সম্পর্কে কল্পনায় না ভাসার আহ্বান জানিয়েছেন নিবল্ট। তিনি বলেন, ব্রিটেনের এখন স্বাধীনভাবে প্রভাবশালী শক্তি হিসাবে নিজেকে না উপস্থাপন করে, একটি ইতিবাচক আন্তর্জাতিক সমর্থক হওয়ার দিকে মনোযোগ দেয়া উচিৎ।
তিনি আরো পরামর্শ দিয়েছেন, বিশ্বের কিছু বড় সমস্যার বাস্তব সমাধানের জন্য তাদের শক্তি এবং কূটনৈতিক নেটওয়ার্কের ব্যাবহার করা উচিৎ এখন। তিনি যে ছয়টি বিষয় তুলে ধরেছেন তা হলো, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার, ন্যাটো শক্তি, বৈশ্বিক স্বাস্থ্য, সাইবার জোট এবং বিশ্বব্যাপী করোনা মোকাবেলা।
তিনি ব্রিটেনকে হাঙ্গেরি বা তুরস্কের মতন দেশগুলোর সাথে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য বলেন। তিনি বরিস জনসনকে একটি স্পষ্ট সতর্কতাও দিয়েছেন, যদি দেশের জন্য নতুন ভূমিকা অর্জন করতে চান তবে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আপনার স্বর উন্নত করতে হবে এবং পরিবর্তন করতে হবে।
নিবল্ট বলেন, জো বিডেন ইউরোপ এবং এশিয়ার সাথে আমেরিকার সম্পর্ক নিরাময়ের চেষ্টা করবে বলে আশা করছেন তিনি।
অতীতে যুক্তরাজ্যের যে ব্যাপক সম্মান ছিল তা যেন ক্ষুন্ন না হয় সে ব্যাপারেও তিনি সতর্ক করেন।
সূত্র: দি গার্ডিয়ান
১২ জানুয়ারি ২০২১
এসএফ