যুক্তরাজ্যগামী এক ফ্রিজ লরি থেকে অন্তত ১৩ জন অভিবাসীকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে, যাদের মধ্যে অনেকেই নাবালক। শনিবার সকালে সেন্ট-হিলেয়ার-কটেস বিশ্রামস্থলে এই ঘটনা ঘটে, যা ক্যালাইস থেকে প্রায় ৪৫ মাইল দূরে।
পুলিশ জানিয়েছে, ইরিত্রিয়ান নাগরিকরা লরির পিছনের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে, যখন চালক ঘুমাচ্ছিলেন। তিনি মরক্কো থেকে চেরি টমেটো নিয়ে ইংল্যান্ডে যাচ্ছিলেন এবং দীর্ঘ যাত্রার কারণে ক্লান্ত ছিলেন। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই চরম ঠান্ডায় অবৈধ অভিবাসীরা অসুস্থ হয়ে পড়লেও লক করা দরজার কারণে বের হতে পারেনি।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, দুপুরের দিকে অন্য এক চালক লরি থেকে চাপা শব্দ ও চিৎকার শুনতে পান। খবর পেয়ে বিকেল ৩টার দিকে জরুরি সেবা, প্যারামেডিক এবং ১০ জন জেন্ডার্ম ঘটনাস্থলে পৌঁছে সবাইকে উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে একটি ফিল্ড হাসপাতালে নেওয়ার পর চারজনকে হাইপোথারমিয়াসহ বিভিন্ন জটিলতায় আরাস ও সাঁ-ওমেয় জরুরি বিভাগে পাঠানো হয়।
প্রাপ্তবয়স্কদের পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে নিয়েছে, আর নাবালকদের সামাজিক সেবা বিভাগ ও একটি অভিবাসী সহায়তা সংস্থার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পা-দে-ক্যালাইস প্রিফেকচারের চিফ অব স্টাফ ক্রিশ্চিয়ান ভেদেলাগো বলেন, “তাদের শরীরের অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে তারা কয়েক ঘণ্টা ধরে সেখানে ছিল।”
প্রাণঘাতী ফ্রিজ লরি যাত্রার ইতিহাস নতুন নয়। ২০১৯ সালে যুক্তরাজ্যের গ্রেজ শহরে ৩৯ জন ভিয়েতনামি নাগরিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল একটি ফ্রিজ লরি থেকে। ২০০০ সালে ডোভার বন্দরে ৫৮ জন চীনা অভিবাসী একইভাবে প্রাণ হারান। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও এখন অধিকাংশ অভিবাসী ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পার হয়, তবুও লরির মাধ্যমে পাচারের ঘটনা অব্যাহত রয়েছে।
সূত্রঃ দ্য সান
এম.কে
১৪ আগস্ট ২০২৫