যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপের দেশসমূহে যেতে আগ্রহী মার্কিন নাগরিকদের অতিরিক্ত ভিসা ফি এবং নতুন কিছু রীতি অনুসরণ করতে হবে। ৮ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে এসব বিধি।
যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও অ্যান্ডোরা, অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, ব্রুনাই, কানাডা, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, ফ্রাঞ্চ, জার্মানি, গ্রিস, হংকং, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, জাপান, লিচটেনস্টিন, লুক্সেমবার্গ, মালয়েশিয়া, মাল্টা, মোনাকো, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে এবং পর্তুগালের পাসপোর্টধারীদেরকেও এই ব্যবস্থা অনুসরণ করতে হবে।
এছাড়া, যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যে যাওয়ার ক্ষেত্রেও (অভ্যন্তরীণ রুটে) আমেরিকানদের লাগবে ‘রিয়েল আইডি’ এবং প্রচলিত আইডির পরিবর্তে রিয়েল আইডি ছাড়া বিমানে ওঠা যাবে না ৭ মে’র পর থেকে।
ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত ব্রিটিশ হাইকমিশন এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের পক্ষ থেকে ১ জানুয়ারি জানানো হয়েছে যে, যুক্তরাজ্য ভ্রমণকারী আমেরিকানদের এখন থেকে যুক্তরাজ্যের ‘ইলেক্ট্রনিক ট্র্যাভেল অথরাইজেশন’ (ইটিএ) সিস্টেমে আবেদন করতে হবে। এটি হচ্ছে ভ্রমণে ইচ্ছুকদের ব্যাপারে তথ্য যাচাইয়ের সর্বাধুনিক একটি প্রক্রিয়া। এজন্যে ফি লাগবে ১৩ ডলার। একবার ইটিএ’র অনুমতি পেলে টানা দু’বছর যতবার খুশি ততবার ব্রিটেনে যেতে পারবেন আমেরিকান পাসপোর্টধারীরা।
একইধরনের আরেকটি সিস্টেম এ বছরের ২৫ মে থেকে কার্যকর করবে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের দেশসমূহ এবং সেটি হচ্ছে ‘ইউরোপিয়ান ট্র্যাভেল ইনফরমেশন অ্যান্ড অথরাইজেশন সিস্টেম’। ভিসা ছাড়া যারা ইউরোপের বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করতে চান তাদের জন্যে আগাম স্ক্রিনিংয়ের এই ব্যবস্থা খুবই ফলদায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
তবে এজন্যে কত ফি লাগবে তা এখনো স্থির করা হয়নি। ইউএস ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড এডমিনিস্ট্রেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে ২০ মিলিয়নের (দুই কোটি) অধিক মানুষ যাতায়াত করেছে।গতবছর বিমানের টিকিটের মূল্য বৃদ্ধি পেলেও ভ্রমণকারীর সংখ্যায় কোন হেরফের হয়নি। তবে এখন নতুন ব্যবস্থাপনায় ফিসা ফি-তে অতিরিক্ত ১৩ ডলারের কোন প্রভাব পড়বে কিনা তা সময়েই জানা যাবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
প্রসঙ্গত, উল্লেখ্য ইটিএর অনুমোদন ব্যতিত কাউকেই বিমানে উঠতে দেয়া হবে না। তাই ভ্রমণের তারিখের অন্তত ৩ দিন আগে আবেদন করতে হবে ইটিএর অনুমতির জন্যে।
এদিকে, ১৮ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী আমেরিকানদের ৭ মে থেকে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমানে যাতায়াতের জন্যে অবশ্যই প্রচলিত ড্রাইভার লাইসেন্সের পরিবর্তে ‘রিয়েল আইডি’ লাগবে।
‘রিয়েল আইডি’তে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত থাকে অর্থাৎ সেটিকে পাসপোর্টের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যায়। অর্থাৎ ফেডারেল প্রশাসন কর্তৃক নিরাপত্তা ব্যবস্থা যাচাইয়ের সব কিছু সেখানে থাকে।
আমেরিকা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভ্রমণে ইচ্ছুকদের বছরের শুরুতেই স্মরণ করিয়ে দেয়া হয়েছে নিজ নিজ পাসপোর্টের মেয়াদ পরখ করার জন্যে। কারণ, গতবছরও অনেক আমেরিকান কনফার্ম টিকিটসহ এয়ারপোর্টে গিয়েও গন্তব্যে রওয়ানা দিতে পারেননি। লাগেজ কাউন্টারে যাবার পর ক্লার্ক দেখতে পান যে, পাসপোর্ট নবায়নের সময় অতিবাহিত হয়েছে কিংবা ৩ মাসের কম সময় আছে মেয়াদ শেষ হবার।
এম.কে
০২ জানুয়ারি ২০২৪