আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বিভাগের (ডিআইটি) নিষেধাজ্ঞায় থাকা ৭৩টি দেশের মধ্যে ৫৮টি দেশে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম রপ্তানি করেছে যুক্তরাজ্য। এরমধ্যে পাকিস্তানে স্নাইপার রাইফেল, কেনিয়ায় অ্যাসল্ট রাইফেল এবং চীনে নৌ-সরঞ্জাম রপ্তানি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, গত পাঁচ বছরে সমরাস্ত্র রপ্তানির ৮০ শতাংশই বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞায় থাকা দেশগুলোকে অনুমোদন দিয়েছেন ব্রিটিশ মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা। ২০১৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত প্রাপ্ত রেকর্ড পর্যালোচনা করে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে গার্ডিয়ান।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আইনগত দিক থেকে এ জাতীয় রপ্তানি অবৈধ নয়, কিন্তু মানবাধিকারের বিবেচনায় এটি পদ্ধতিগত ব্যর্থতা।
ব্রিটিশ বাণিজ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি সমরাস্ত্র রপ্তানির তালিকায় রয়েছে: বাহরাইন, বাংলাদেশ, কলম্বিয়া, মিশর এবং সৌদি আরব।
২০১৬ ও ২০১৯ সালে পাকিস্তানে প্লেনের যন্ত্রাংশ, রায়োট শিল্ড ও স্নাইপার রাইফেল রপ্তানির জন্য অনুমোদন দেয়। ২০১৭ সালে কেনিয়ায় অনুমোদন দেয়া হয় তিন হাজার অ্যাসল্ট রাইফেল। যদিও তার আগের বছর আফ্রিকার এই দেশটির বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১২২ জনকে হত্যা ও বহু মানুষকে নির্যাতন ও গুমের অভিযোগ তোলে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।
২০২০ সালের শুরু দিকে নাইজেরিয়ান পুলিশকে প্রায় দুই লাখ ৯০ হাজার অস্ত্রের চালান অনুমোদন দেয় যুক্তরাজ্য। একই বছর নাইজেরিয়ার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর বিরুদ্ধে বহু মানুষ হত্যা ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া যায়।
চীনের ক্রমবর্ধমান নৌবাহিনীকে সামরিক রাডার সরঞ্জামসহ বহু অস্ত্র বিক্রি করেছে যুক্তরাজ্য। অফিসিয়াল রেকর্ড অনুযায়ী, ২০১৫ সালে ১৬ দশমিক ২ মিলিয়ন পাউন্ড এবং ২০১৮ সালে ৪ দশমিক ১৫ মিলিয়ন পাউন্ডের সমরিক সরঞ্জাম অনুমোদন দেয়া হয় চীনকে।
বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় নৌবাহিনী রয়েছে চীনের। এশিয়ার এই পরাশক্তির বিরুদ্ধে উইঘুর মুসলিমদের নির্যাতনের অভিযোগ বরাবরই সংবাদ শিরোনামে উঠে আসছে।
ব্রিটিশ সরকারের একজন মুখপাত্র জানান, সরকার অনেক গুরুত্বের সঙ্গে কঠোর মানদণ্ড অনুসারে রপ্তানি অনুমোদন দেয়। মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয় এমন রপ্তানি সরকার অনুমোদন করবে না।
২৬ জানুয়ারি ২০২১
এনএইচ