যুক্তরাজ্যে সরকারের কোভিড মহামারী কালীন পরিস্থিতির একটি তদন্তে নতুন সমালোচনার জন্ম দিয়েছে। তদন্তে জানা যায়, প্রাক্তন স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানকক কোভিড আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে “কে বেঁচে থাকবে এবং কোন রোগী মারা যাবে” এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা চেয়েছিলেন।
প্রাক্তন এনএইচএস ইংল্যান্ড চিফ স্যার সাইমন স্টিভেন্স এই সত্য উন্মোচিত করেছেন বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। তিনি বলেন মিঃ ম্যাট হ্যানকক যিনি একজন ডাক্তার নন কিন্তু তিনি এই বিষয়ে মতামত দেয়ার জন্য অধিকার চেয়েছিলেন। যা কোনো অবস্থাতেই সঠিক ছিল না এবং আমাদের ভাগ্য ভালো আমরা পরিস্থিতি এড়িয়ে যেতে সক্ষম হয়েছিলাম।
স্যার সাইমন স্টিভেন্স আরও যোগ করেন, “আমি স্বাস্থ্য সচিব ম্যাট হ্যানককের ধারণাটিকে সরাসরি নিরুৎসাহিত করি এবং ডাক্তারদের রোগীদের সেবাদান চালিয়ে যেতে উৎসাহিত করি। আমি আশ্চর্য হয়ে যাই কিভাবে একজন রাজনীতিবিদ এভাবে ভাবতে পারেন।”
তদন্তে উঠে আসে স্যার সাইমন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের বিভিন্ন পরামর্শও প্রত্যাখ্যান করেন। স্যার সাইমন জানান প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক বিভিন্ন চাপের মুখোমুখি হয়েছিল এনএইচএস। হাসপাতালের ৩০% বিছানা কোভিড রোগীদের জন্য বরাদ্দ করায় প্রধানমন্ত্রী নাখোশ হন।
প্রধানমন্ত্রী মনে করেছিলেন কোভিড আক্রান্ত রোগীদের অযথাই হাসপাতেলে সিট বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। তাদের দ্রুত ছেড়ে দেওয়ার জন্যও চাপ অব্যাহত রেখেছিলেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।
উল্লেখ্য, করোনা রুখতে দীর্ঘ দুই বছর লকডাউন বিধি জারি ছিল গোটা ব্রিটেনে। কিন্তু সেই লকডাউন চলাকালীনই খাস ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন ১০ ডাউনিং স্ট্রিটে অজস্র পার্টির আয়োজন করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠে। যার মধ্যে অন্তত তিনটিতে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বরিস নিজে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছিল। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম থেকে জানা গেছে, পার্টিগেট কেলেঙ্কারির এক তদন্ত প্রতিবেদনের জেরেই প্রধানমন্ত্রীর পদ খুইয়েছিলেন বরিস জনসন।
এম.কে
০৩ নভেম্বর ২০২৩