পূর্ব লন্ডনের ক্যানারি ওয়ার্ফে ব্রিটানিয়া ইন্টারন্যাশনাল হোটেলের সামনে মঙ্গলবার আশ্রয়প্রার্থীদের থাকার সরকারি সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভ দেখা দেয়। ব্রিটিশ সরকার হোটেলটিকে শরণার্থীদের অস্থায়ী আবাসন হিসেবে ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়ার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হয় মেট্রোপলিটন পুলিশের দল, যারা ঘটনাস্থলে নিয়ন্ত্রণমূলক পরিকল্পনা নিয়ে উপস্থিত ছিল।
টাওয়ার হ্যামলেটস কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানায়, সরকারের এই সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তারা অবগত এবং আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য যথাযথ সহায়তা ও সুরক্ষার ব্যবস্থার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। কাউন্সিল জানিয়েছে, হোম অফিস ও বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়গুলো নিশ্চিত করা হবে।
স্থানীয় এমপি আফসানা বেগম আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে ‘এক্স’-এ পোস্ট দেন: “পপলার ও লাইমহাউসে আমরা পরিষ্কার: শরণার্থীরা এখানে স্বাগত। আমরা তাদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার পাশে আছি। ঘৃণামূলক কট্টর ডানপন্থার আদর্শ এখানে অগ্রহণযোগ্য।”
অন্যদিকে রিফর্ম ইউকে দলের প্রধান হুইপ লি অ্যান্ডারসন ঘটনাস্থল থেকে ভিডিও বার্তায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং দাবি করেন, হোটেল ‘লকডাউন’ অবস্থায় রয়েছে। তার ভাষ্য অনুযায়ী, সেখানে “৫০০ কক্ষ প্রস্তুত রাখা হয়েছে অবৈধ অভিবাসীদের জন্য”, যা তিনি কঠোরভাবে সমালোচনা করেন।
এই ঘটনার রেশ ছড়িয়ে পড়ে এসেক্সের এপিং এলাকার বেল হোটেলেও, যেখানে পূর্বে এক ইরিত্রিয়ান শরণার্থী হাদুশ গারবারস্লাসি কেবাটুর বিরুদ্ধে ১৪ বছরের এক কিশোরীকে জোরপূর্বক চুম্বন করার অভিযোগ ওঠে। ওই ঘটনার পরপরই বিক্ষোভ ও উত্তেজনা তৈরি হয় এবং পুলিশ জানায়, চারজনকে সহিংস দাঙ্গার অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
সরকারি উদ্যোগে আশ্রয়প্রার্থীদের নিরাপদ বাসস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা চললেও, স্থানীয় জনগণের একাংশের মধ্যে উদ্বেগ ও ক্ষোভ স্পষ্ট হয়ে উঠছে। তবে নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের ভারসাম্য রক্ষা করাই এখন সরকারের মূল চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সূত্রঃ স্কাই নিউজ
এম.কে
২৪ জুলাই ২০২৫