যুক্তরাজ্যে পারিবারিক ভিসার ন্যূনতম বাৎসরিক আয় বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা হাইকোর্টের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে।
নেট মাইগ্রেশন কমানোর জন্য ঋষি সুনাক নূন্যতম বাৎসরিক আয় বাড়ানোর পদক্ষেপ নেন তা হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়েছে। এই নূন্যতম বাৎসরিক আয় বৃদ্ধিকরণ পিতামাতার কাছ থেকে শিশুদের আলাদা করে ফেলবে, যা নারী ও সংখ্যালঘুদের সাথে বৈষম্যমূলক আচরণ বলে উল্লেখ করা হয়।
হোম অফিস ন্যূনতম আয়ের বৃদ্ধি করেছিল বিদেশ থেকে স্বামী বা স্ত্রীকে আনার ক্ষেত্রে। পরিবারের সদস্যদের আনতে ভিসার আবেদন করার জন্য অবশ্যই বছরে ২৯,০০০ পাউন্ড উপার্জন দেখাতে হবে বলে তারা আইন জারি করে। যা আগামী বছর ৩৮,৭০০ পাউন্ডে উন্নীত করা হবে বলে জানা যায়।
প্রেসার গ্রুপ রিইউনাইট ফ্যামিলি ইউকে (আরএফইউকে) বিচারিক পর্যালোচনার জন্য একটি আবেদন এই সপ্তাহে দায়ের করেছে। তাতে তারা উল্লেখ করে এই পদক্ষেপ সন্তানের অধিকার সম্পর্কিত জাতিসংঘ কনভেনশনের বিপরীত।
এপ্রিল মাসে গড় বাৎসরিক মজুরি বৃদ্ধির আইন চালু হয়েছিল। যুক্তরাজ্যে মিশ্র জাতির বসবাস যেখানে বেশিরভাগ পরিবারেই বিদেশী স্ত্রী বা স্বামী রয়েছে। নতুন আইনে ভিনদেশী স্ত্রী বা স্বামী আনতে বাঁধার সৃষ্টি হতে পারে বলে মত দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
আরএফইউকে-র ক্যারোলিন কুম্বস বলেন, “ আমরা যে সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব করি তাদের কাছে এই মজুরি বৃদ্ধির আইন একটি নতুন চমক হিসাবে এসেছিল। এই আইন এমন এক সময় আনা হল যখন সমস্ত যুক্তরাজ্যে লোকেরা জীবনধারণের জন্য সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।”
হোমঅফিসের সাথে নতুন আইন নিয়ে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, এটি কনজারভেটিভ পার্টির বিষয়। যেহেতু সাধারণ নির্বাচনের দিকে জাতি এগিয়ে যাচ্ছে সেক্ষেত্রে এই বিষয়ে আপাতত মন্তব্য করা যাবে না।
উল্লেখ্য যে, মঙ্গলবারের আইটিভি বিতর্কে নেট মাইগ্রেশন স্তর নিয়ে আলোচনায় ঋষি সুনাক ও কেয়ার স্টারমারের মধ্যে বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। উভয় পক্ষই আইনী অভিবাসন হ্রাস করার জন্য আরও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৬ জুন ২০২৪