ইস্ট লন্ডনের ইলফোর্ড এলাকার একটি রেস্টুরেন্টের বাইরে ধারণকৃত এক ভিডিও ক্লিপ ঘিরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। ভিডিওটিতে একজন ব্যক্তি, যিনি শেফ বা কিচেন স্টাফদের পোশাক পরিহিত ছিলেন, তাকে রেস্টুরেন্টের বাইরে অস্বাভাবিক এক আচরণ করতে দেখা গেছে—যা প্রশ্ন তুলেছে ফুড হাইজিন এবং পেশাদারিত্ব নিয়ে।
ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি প্রকাশ্যে নিজের হাত ট্রাউজারের ভিতরে পশ্চাৎদেশে ঢুকিয়ে দেন এবং পরক্ষণেই সেই একই হাতে অন্য ব্যক্তির সঙ্গে করমর্দন করেন। ভিডিওটি দ্রুত টিকটকে ছড়িয়ে পড়ে এবং ইতোমধ্যে হাজার হাজার মানুষ এটি দেখেছেন এবং মন্তব্য করেছেন।
ইংল্যান্ডের একাধিক অনলাইন ট্যাবলয়েডে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই ব্যক্তি এশিয়ান বংশোদ্ভূত এবং তার উৎস ভারত, পাকিস্তান কিংবা বাংলাদেশ হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এখনও তার পরিচয় বা সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্টের নাম প্রকাশ পায়নি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর বহু ব্যবহারকারী প্রশ্ন তুলেছেন—এই ব্যক্তি যদি সত্যিই একজন শেফ বা কিচেন কর্মী হয়ে থাকেন, তবে তার কাছ থেকে এমন আচরণ কীভাবে গ্রহণযোগ্য হতে পারে? তার হাতে তৈরিকৃত বা পরিবেশিত খাবারের স্বাস্থ্যগত নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেকে।
একজন টিকটক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “এই ভিডিও দেখার পর আমি আর বাইরের রেস্টুরেন্টে খেতে ভয় পাচ্ছি।”
বর্তমানে যুক্তরাজ্যে খাদ্য নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে কঠোর নিয়মনীতি রয়েছে। ফুড স্ট্যান্ডার্ডস এজেন্সি (FSA)-এর নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো রেস্টুরেন্ট বা খাদ্য পরিবেশনকারী প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা বাধ্যতামূলক এবং নিয়ম লঙ্ঘন করলে সেই প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা কিংবা লাইসেন্স স্থগিত করার মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।
এখনো পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট রেস্টুরেন্ট বা কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সামাজিক চাপ এবং গণমাধ্যমের নজরদারির কারণে এই ঘটনায় তদন্ত শুরু হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই ধরনের ঘটনা শুধু একটি রেস্টুরেন্টের মানই প্রশ্নবিদ্ধ করে না, বরং সামগ্রিকভাবে অভিবাসী কমিউনিটির হাইজিন চর্চা নিয়েও এক ধরনের নেতিবাচক বার্তা দেয়—যা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং দুর্ভাগ্যজনক।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে
০২ জুন ২০২৫