ব্রিটেনের নতুন প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার শুক্রবার র্যাচেল রিভসকে অর্থমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন। লেবার দলের বিজয়ের পর দেশের ইতিহাসে এই পদে অধিষ্ঠিত প্রথম নারী তিনি। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাস গড়েছেন র্যাচেল। ৪৫ বছর বয়সী রিভস ব্যাংকিংয়ে তার কর্মজীবন শুরু করার পর কোষাগারের চ্যান্সেলর হন।
যুক্তরাজ্যে অর্থমন্ত্রীর পদের নাম ‘চ্যান্সেলর অব এক্সচেকার’।
নিজেকে প্রায়ই ‘কর্মজীবী শ্রেণি’ পরিবার থেকে উঠে আসা মানুষ হিসেবে বর্ণনা করে থাকেন লেবার পার্টির নেতা স্যার কিয়ার স্টারমার। এবার যুক্তরাজ্যে সাধারণ নির্বাচনে তার নেতৃত্বেই লেবার পার্টি নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। আইনজীবী থেকে রাজনীতিবিদ বনে যাওয়া কিয়ার স্টারমারই দেশটির প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন।
চার বছর আগে দলের সবচেয়ে টালমাটাল সময় লেবার পার্টির নেতৃত্ব নেন স্টারমার। দলটির তৎকালীন প্রধান কট্টর বামপন্থী রাজনীতিবিদ জেরেমি করবিনের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।
বিদায়ি টোরি নেতা ঋষি সুনাক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাজা তৃতীয় চার্লসের কাছে পদত্যাগ করার পর শুক্রবার রাজা তৃতীয় চার্লসের সঙ্গে বাকিংহাম প্রাসাদে দেখা করেন কিয়ার স্টারমার। ব্রিটেনের রাষ্ট্রপ্রধান রাজা তৃতীয় চার্লস তাকে যুক্তরাজ্যের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
সরকার গঠনের অনুমতি পেয়ে ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটে ফিরে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন স্টারমার। এরপরই শুরু হয় তার মন্ত্রিসভা গঠনের প্রক্রিয়া। এরই মধ্যে তিনি ২০ জন মন্ত্রী বেছে নিয়ে তাদের দায়িত্ব বণ্টন করে দিয়েছেন। তবে যুক্তরাজ্যের নতুন মন্ত্রিসভায় সবচেয়ে বড় চমকে র্যাচেল রিভস, যিনি যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে প্রথম অর্থমন্ত্রী।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
০৭ জুলাই ২০২৪