যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি ইঙ্গিত দিয়েছেন যে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়ে সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত আসন্ন মৌসুমে প্রকাশিত হতে পারে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সম্প্রতি এক বৈঠকে ল্যামি উল্লেখ করেন যে এই বিতর্ক শিগগিরই একটি নির্দিষ্ট অবস্থানে গিয়ে স্থির হবে।
ল্যামির বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাজ্য সম্ভবত ফ্রান্সের সঙ্গে সময়সূচি মিলিয়ে নেবে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘে প্যারিস ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে। ব্রিটিশ এক মন্ত্রীও ফিন্যানশিয়াল টাইমসকে বলেছেন, “এখন অনেকটাই নিশ্চিত যে আমরাও একই পথে হাঁটব।”
তবে ডেভিড ল্যামি উল্লেখ করেছেন, এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এককভাবে তার হাতে নেই। সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে বিষয়টি আটকে রেখেছেন। ওয়াশিংটন লন্ডন ও প্যারিসকে এই স্বীকৃতি পরিকল্পনা থেকে সরে আসার জন্য চাপ দিচ্ছে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফ্রান্সের ঘোষণাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়ে বলেন, এই পদক্ষেপ হামাসের প্রচারণাকে শক্তিশালী করবে এবং শান্তি প্রক্রিয়াকে পিছিয়ে দেবে। তিনি এক্স-এ (সাবেক টুইটার) লিখেছেন, ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেওয়া “৭ অক্টোবরের ভুক্তভোগীদের মুখে চপেটাঘাত।”
যুক্তরাজ্যের অভ্যন্তরে ফিলিস্তিন স্বীকৃতির দাবি ক্রমশ জোরদার হচ্ছে। লেবার এমপি সারা চ্যাম্পিয়নের উদ্যোগে ১০০-র বেশি এমপি দল-পারস্পরিক চিঠিতে স্বাক্ষর করে প্রধানমন্ত্রীকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটিও সরকারকে যত দ্রুত সম্ভব স্বীকৃতি দেওয়ার অনুরোধ করেছে।
কমিটির চেয়ার এমিলি থর্নবেরি বলেছেন, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স একযোগে এই পদক্ষেপ নিলে তা প্রতীকী হলেও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হবে। তিনি মনে করেন, এর মাধ্যমে যুক্তরাজ্য দেখাতে পারবে যে তারা শান্তি প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে প্রস্তুত।
সূত্রঃ ফিন্যানশিয়াল টাইমস
এম.কে
২৮ জুলাই ২০২৫