যুক্তরাজ্যের নতুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ ঘোষণা দিয়েছেন, দেশের সীমান্ত সুরক্ষায় তিনি “যা কিছু প্রয়োজন, তা করবেন”। অতীতে অবৈধভাবে কাজ করা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে কার্যকর পদক্ষেপ “অপ্রতুল ও দুর্বল” ছিল বলে স্বীকার করে তিনি জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার এবার সেই ঘাটতি পূরণে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে।
মাহমুদ বলেন, অবৈধ কর্মসংস্থানের বিরুদ্ধে প্রয়োগমূলক ব্যবস্থা “যথেষ্ট ছিল না”, এবং এ কারণেই যুক্তরাজ্য অবৈধ অভিবাসীদের কাছে আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে। তিনি জানান, এবার অভিযান হবে “আরও দ্রুত ও গভীরভাবে”, যাতে অবৈধভাবে কাজ করা ও থাকার প্রবণতা দমন করা যায়।
অবৈধ অভিবাসন রোধে কঠোর প্রত্যাবর্তন নীতি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি। মাহমুদ সতর্ক করেছেন, যেসব দেশ তাদের নাগরিকদের যুক্তরাজ্য থেকে ফিরিয়ে নিতে অস্বীকৃতি জানাবে, তাদের জন্য ভিসা স্থগিত বা কমিয়ে দেয়ার মতো ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। তিনি বলেন, “যাদের যুক্তরাজ্যে থাকার অধিকার নেই, তাদের ফিরিয়ে পাঠানোই হবে ন্যায্য পথ।”
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ইউরোপীয় মানবাধিকার সনদ (ECHR) ও আধুনিক দাসত্ব আইন (Modern Slavery Act)–এর কিছু ধারা অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে থেকে যাওয়ার ঢাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। মাহমুদ বলেছেন, এসব আইনের অপব্যবহার বন্ধ করতে সরকার আইনি সংস্কারে যাবে, যাতে জাতীয় নিরাপত্তা ও জনস্বার্থ রক্ষা করা যায়।
তবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী স্পষ্ট করে দেন, বৈধ অভিবাসন নিয়ে সরকারের অবস্থান ভিন্ন। তিনি বলেন, “যুক্তরাজ্য সবসময়ই স্বাগত জানিয়েছে তাদের, যারা বৈধভাবে এখানে এসে কাজ ও অবদান রাখতে চান।” অবৈধ প্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হলেও, দক্ষ শ্রমিক ও বৈধ কর্মীদের জন্য সুযোগ উন্মুক্ত থাকবে।
নিজ নির্বাচনী এলাকার জনগণের উদ্বেগের প্রসঙ্গে মাহমুদ বলেন, অভিবাসন নিয়ে মানুষের আশঙ্কা “বাস্তব ও যুক্তিসঙ্গত”। তিনি আরও যোগ করেন, লেবার পার্টিকে এই বিষয়ে “দ্বিধা ও সংকোচ কাটিয়ে উঠতে” হবে, কারণ জনগণ চায় বাস্তবসম্মত ও দৃঢ় পদক্ষেপ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথম ভাষণে শাবানা মাহমুদ বলেন, “আমরা আমাদের সীমান্ত রক্ষায় যা কিছু প্রয়োজন, তা করব।” তার এই বক্তব্য লেবার সরকারের নতুন অভিবাসন নীতির দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হচ্ছে— যেখানে কঠোর প্রয়োগ ও ন্যায়সঙ্গত অভিবাসন একসঙ্গে গুরুত্ব পাবে।
সূত্রঃ স্যোশাল মিডিয়া
এম.কে


