২০২২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যের সুপারমার্কেটে উচ্চমাত্রার চিনি ও ফ্যাটযুক্ত খাবারের উপর অফার বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে সরকার।
সুপারমার্কেটে অস্বাস্থ্যকর চর্বি যুক্ত খাবার এবং অতিরিক্ত চিনি যুক্ত পানীয় প্রদর্শন করতে বা একটি কিনলে আরেকটি ফ্রি অফার দিতে বাধা দেওয়া হবে। অনলাইনে এ সকল পণ্যের ওয়েবসাইটের জন্যেও এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য। রেস্তোঁরায় আর চিনিযুক্ত পানীয় বিনামূল্যে রিফিল সরবরাহ করতে পারবে না।
স্বাস্থ্য সচেতনরা বলছেন, ওবিসিটি বা স্থূলত্বের বিরুদ্ধে এটি ডাউনিং স্ট্রিটের একটি “সাহসী প্রথম পদক্ষেপ”। ওবিসিটি হলো শরীরের এক বিশেষ অবস্থা। এই অবস্থায় শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জাতীয় পদার্থ জমা হয় এবং স্বাস্থ্যের ওপর এর ক্ষতিকারক প্রভাব পড়ে। এর ফলে আয়ু কমে যেতে পারে এবং শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
বরিস জনসন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে মারাত্মক লড়াইয়ের পরে এই প্রতিশ্রুতি নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বাস করেন যে মানুষের ওজন বাড়ার সাথে সাথে করোনায় মৃত্যু ঝুঁকি বেড়ে যায়।
যে সব সুপারমার্কেটে ৫০ জন বা তার বেশি কর্মচারী কাজ করে এমন বৃহত্তর বিক্রেতাদের ক্ষেত্রে এই বিধিনিষেধ প্রযোজ্য। এই নিষেধাজ্ঞাগুলো ২০২২ সালের এপ্রিলের আগে কার্যকর করা হবে না। তাই বিক্রেতা ও খাদ্য প্রস্তুতকারকরা তাদের পণ্য স্থানান্তর করতে প্রচুর সময় পাবেন।
ডায়াবেটিস ইউকের নীতি প্রধান, হেলেন কিরেন বলেন, মানুষ যখন খাবারের দোকানে আসবে তখন স্বাস্থ্যকর খাদ্য নির্বাচন করতে সহায়তা করবে সরকারের এই বিধিনিষেধগুলো।
উচ্চ ফ্যাটযুক্ত এবং উচ্চ চিনিযুক্ত খাবারের মধ্যে রয়েছে চকোলেট, মিষ্টি, চিপস, সফট ড্রিঙ্কস, শর্করাযুক্ত দুধ, চিনি যুক্ত ফলের রস, কেক, পেস্ট্রি,পুডিং, বিস্কুট, সিরিয়াল, দৈ, পিজ্জা, প্রস্তুত করা মাংস ইত্যাদি।
সরকার যুক্তি দিয়েছে, জনগণ অর্থ সাশ্রয় না করে অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে। বিভিন্ন অফারের কারণে আরো বেশি এইসব অস্বাস্থ্যকর খাবার কিনে স্বাস্থ্য নষ্ট করছে।
জনস্বাস্থ্য মন্ত্রী জো চার্চিল বলেন, আমরা এমন পরিবেশ তৈরি করতে চাই যাতে প্রত্যেকে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে উৎসাহিত হয়। এটি জাতির স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
যুক্তরাজ্যের ৬৩ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্কদের অতিরিক্ত ওজন বা ওবিসিটি রয়েছে। এবং এক তৃতীয়াংশ শিশুর অতিরিক্ত ওজন বা ওবিসিটি রয়েছে।
সূত্র: গার্ডিয়ান
২৮ ডিসেম্বর ২০২০
এসএফ