ব্রিটেনে পড়তে আসা শিক্ষার্থীরা তাদের কোর্স শেষ করার পর কমপক্ষে দুই বছর স্বাধীনভাবে কাজ ও পরিবারসহ বসবাসের সুযোগ পাবেন। ব্রিটেনে যারা পিএইচডি বা ডক্টরাল সমমানের কোর্স করবেন তাদের ক্ষেত্রে এ ভিসার মেয়াদ হবে তিন বছর। আর গ্র্যাজুয়েশন শেষ করলে মিলবে দুই বছরের ভিসা।
নতুন এই সুবিধা পেতে ১ জুলাই থেকে বাংলাদেশিসহ ব্রিটেনে অধ্যয়নরত বিদেশি শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। এই আইনে ব্রিটেনে এলপিসি ও শিক্ষকতায় পিজিসিই-এর মতো পেশাদার কোর্স সম্পন্নকারীরাও এ সুযোগ পাবেন। জানা যায়, আগামী জুলাই থেকে এ নিয়ম কার্যকর হবে।
তবে, এ ভিসার মাধ্যমে কোনও শিক্ষার্থী নিজের দেশসহ ব্রিটেনের বাইরে থেকে কোনও সঙ্গীকে ইংল্যান্ড আনতে পারবেন না। ডিসটেন্স লার্নিংয়ের ক্ষেত্রেও করোনাকালীন শিক্ষার্থীরা শর্তসাপেক্ষে এ সুবিধা পাবেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রিটেনে পোস্ট স্টাডি (শিক্ষা শেষে) ওয়ার্ক ভিসা চালু ছিল।
বলা হচ্ছে, ব্রিটেনে নিয়মিত কোর্স সম্পন্ন করতে আগ্রহী করতে এ সুবিধা শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করবে। অন্যদিকে বাংলাদেশের মতো দেশ থেকে স্বামী বা স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে ব্রিটেনে পড়তে যাওয়ার ক্ষেত্রে তরুণ দম্পতিরা উৎসাহিত হবে।
নতুন নীতিমালায় এ ভিসায় থাকাকালীন কাজের জন্য শিক্ষার্থীকে কোনোরকম স্পন্সর দেখাতে হবে না। নিয়োগদাতার লাইসেন্সের শর্তও তাই প্রয়োজন হবে না। অর্থাৎ, কোর্স শেষে তারা যে কোনও জায়গায় স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবেন। কোর্স চলাকালীন শিক্ষার্থীর স্বামী বা স্ত্রী এবং সন্তান ব্রিটেনে থাকলে তারাও দুই বা তিন বছরের করে ভিসা পাবেন। স্পাউস এক্ষেত্রে ফুলটাইম কাজের অনুমতি পাবেন।
২২ মার্চ ২০২১
সূত্র: বাংলা ট্রিবিউন