পার্কে পাখিদের খাওয়ানো, অযথা গালিগালাজ করলে কিংবা পথচারীকে উত্যক্ত করার কারণে অন-স্পট জরিমানা জারি করেছে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ। কাউন্সিল কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন ধরনের খারাপ ব্যবহারের কারণে এইসব জরিমানা বিধানের ব্যবস্থা করেছে বলে জানান স্থানীয় সরকারের একজন মুখপাত্র।
পাবলিক স্পেস সুরক্ষা আদেশের আইন অনুসারে জারি করা জরিমানার রেকর্ডের তথ্যানুযায়ী ২০১৯ সালের ১০,৪১২ জনকে জরিমানা করা হয়েছিল খারাপ আচরণের জন্য। এই সংখ্যা ২০২২ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩,৪৩৩ জন। স্থানীয় সরকার তাই নিজেদের কাউন্সিল এলাকা পরিছন্ন ও সুন্দর পরিবেশ রক্ষার্থে আরো কঠিন ব্যবস্থা নিতে আগ্রহী বলে সংবাদমাধ্যমের এক প্রতিবেদনে জানা যায়।
যেসব অপরাধের জন্য লোকদের জরিমানা করা হয়েছিল তার মধ্যে চিৎকার,চেঁচামেচিও অন্তর্ভুক্ত ছিল। প্রতিবেশীদের উত্যক্ত করলেও জরিমানা বিধান রাখা হয়েছে নতুন আইনে।
২০১৪ সালে চালু হওয়া পাবলিক স্পেস সুরক্ষার নিয়মে হুমকী বা হিংসাত্মক আচরণ, পার্কের কোনো গাছ তুলে ফেলা, পাথর ছুঁড়ে মারাকে নিষিদ্ধ আচরণের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ভিক্ষার জন্য জরিমানা করার বিধান এনেছে স্থানীয় সরকার কর্তৃপক্ষ। তাছাড়া পাবলিক প্লেসে ঘুমানোর জন্য ৫০০ পাউন্ড পর্যন্ত জরিমানা বিধানের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা যায়। তবে এইসব নিয়মের সমালোচনা করেছে বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা।
দাতব্য সংস্থার একজন মুখপাত্র বলেন, কিছু আইন মনে হয় গৃহহীন বা গরীব মানুষদের জন্য বিপদ বয়ে আনবে। সরকার সবাইকে বাসস্থানের বন্দোবস্ত করতে অপারগ কিন্তু স্থানীয় সরকার রাস্তায় শুয়ে থাকা ব্যক্তিদের জরিমানা করার উদ্যোগ নিয়েছে। যা পরিস্থিতি আরো খারাপই করতে পারে।
স্থানীয় সরকার সমিতি যুক্তি দিয়ে বলে, অসামাজিক আচরণ যেমনঃ পাবলিক পরিবেশে মদ্যপান, গাড়ি দিয়ে রেইসিং, আক্রমণাত্মক ভাব নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি এবং ভয় দেখানো মানুষের জীবনযাত্রার গুণমানকে নষ্ট করতে পারে, ব্যবসায়ের ক্ষতি করতে পারে। এইসব আচরণকে তাই কোনো অবস্থায় আশকারা দেয়া ঠিক নয়। তাই জরিমানার বিধানই হতে পারে একমাত্র সমাধান।
সাউদ-অন-সি-এর কাউন্সিলর জেমস কার্টেনয় বলেন, “বেপরোয়া সাইকেল চালানো এবং ই-স্কুটারদের অবৈধভাবে চলাচলের বিষয়ে অনেক অভিযোগ আমরা প্রায়ই পেয়ে থাকি। এইসব বিষয়ে ব্যবস্থা না নিলে সাধারণ জনগণ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়বে। জনগণ কাউন্সিলকে ট্যাক্স প্রদান করে সুন্দর পরিবেশ আর সুরক্ষার কথা চিন্তা করে। তাই খারাপ আচরণ কখনও মেনে নেয়া যায় না।”
এম.কে
২১ জুলাই ২০২৩