যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের জন্য নতুন ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ETA) পদ্ধতি চালুর পর দেখা গেছে ETA নিয়ম এবং ভিজিটর ভিসার উপযুক্ততার নিয়মের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ অমিল রয়েছে। এই পার্থক্য অনেককে সীমান্তে এসে বিপদে ফেলতে পারে।
ETA নিয়ম অনুযায়ী, কারো অপরাধমূলক দণ্ড (কারাবাস হোক বা না হোক) থেকে ১২ মাস পার হলে তারা ETA পেতে পারেন। কিন্তু ভিজিটর ভিসার নিয়ম অনুযায়ী, যদি কেউ কারাদণ্ডপ্রাপ্ত হন, তবে সাজা শেষ হওয়ার ১২ মাস না পেরোলে তাকে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না যদি ETA অনুমোদিত হয়ে থাকেন তারপরও নয় ।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায়, কেউ যদি জানুয়ারি ২০২৫-এ দোষী সাব্যস্ত হয়ে ছয় মাসের সাজা পান, এবং আগস্টে সাজা শেষ হয়, তবে জানুয়ারি ২০২৬-এ ETA পেতে পারেন। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ভ্রমণ করতে গেলে, তাকে যুক্তরাজ্যের সীমান্ত হতে ফিরিয়ে দেওয়া হতে পারে কারণ সাজা শেষ হওয়ার ১২ মাস এখনো হয়নি।
ETA গাইডলাইনে “জনস্বার্থ পরিপন্থী” আচরণের সংজ্ঞাও কিছুটা সীমিত, যেখানে ভিজিটর ভিসার নিয়মে আরও বিস্তৃত কারণ রয়েছে—যেমন ইমিগ্রেশন আইন লঙ্ঘন, অপরাধী গ্যাংয়ের সংযোগ, ভুয়া বিয়ে, কাস্টমস আইন লঙ্ঘন ইত্যাদি।
উল্লেখ্য যে, ETA পাওয়া মানেই যুক্তরাজ্যে প্রবেশের নিশ্চয়তা নয়। ভ্রমণ পরিকল্পনার আগে ভিসা এবং ইমিগ্রেশন নিয়ম ভালোভাবে বুঝে নেয়া জরুরি বলে ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য সরকার। বিশেষ করে যারা আগে কোনো অপরাধে জড়িত ছিলেন বা আইন লঙ্ঘন করেছেন তাদের জন্য বিষয়টি অনেক বেশি সংবেদনশীল।
সূত্রঃ ফ্রি মুভমেন্ট
এম.কে
০৬ মে ২০২৫