একজন নার্স এবং একজন স্বাস্থ্যসেবা কর্মীকে বেআইনীভাবে রোগীদেরকে ঔষধ ব্যবহারে বাধ্য করার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। তারা তাদের নিজস্ব বিনোদনের জন্য এবং কার্যপ্রণালী সহজ করার জন্য স্বেচ্ছাচারিতার আশ্রয় নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
প্রেস্টন ক্রাউন কোর্টের শুনানিতে জানা যায়, ৫৪ বছর বয়সী ক্যাথেরিন হাডসন ও ৪৮ বছর বয়সী শার্লট উইলমট স্ট্রোক আক্রান্ত রোগীদের নিজেদের খেয়াল খুশিমতো সিডেটিভ ড্রাগ ব্যবহার করেছিলেন। ব্লেকপোল ভিক্টোরিয়া হাসপাতালে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ২০১৮ সালের নভেম্বর পর্যন্ত চাকুরীরত অবস্থায় তাদের উভয়ের নামে অভিযোগ উত্থাপিত হয়।
ক্যাথেরিন হাডসনকে দু’জন রোগীর অসুস্থ-চিকিৎসার জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়। উভয় মহিলাই এই যোগসাজশে জড়িত ছিলেন বলে নিশ্চিত করে পুলিশ বিভাগ। তাছাড়া রোগীদের ভুল চিকিৎসার ষড়যন্ত্রের জন্য দুইজনকেই দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ক্যাথরিন হাডসনের নামে আরো একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানা যায়।
উইলমটকে বিভিন্ন রোগীকে সিডেটিভ ড্রাগ ব্যবহার করতে হাডসনকে উৎসাহিত করার জন্যও দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অন্যদিকে হাডসনকে ঔষধ মেবিভারিন চুরির জন্য সন্দেহ করা হয়।
খবরে জানা যায়, শার্লট উইলমট হাসপাতাল থেকে ঔষধ চুরি করার ষড়যন্ত্রের জন্যও দোষ স্বীকার করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী নার্স কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন তিনি হাডসনকে রোগীদের উপর অনির্ধারিত ঔষধ হিসেবে জোপিক্লোন ব্যবহার করতে দেখেছেন, যা একটি ঘুমের বড়ি।
পুলিশ তদন্তে উঠে আসে অনির্ধারিত জোপিক্লোন ব্যবহার প্রাণনাশের কারণ হতে পারে।
প্রসিকিউটররা বলেন, হাডসন অভিজ্ঞতার দিক থেকে একজন ব্যান্ড ৫ নিবন্ধিত নার্স এবং ব্যান্ড ৪ সহকারী অনুশীলনকারী উইলমট। তাদের নিকট হতে এই ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজ কখনও আশা করা যায় না। মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা নার্স পেশার জন্য খুবই দুঃখজনক।
প্রায় দীর্ঘ জেরার পর হাডসনকে পুলিশ হেফাজতে পাঠানো হয় এবং উইলমটকে জামিনে ছাড়া হয় বলে জানা যায়। আগামী ১৩ এবং ১৪ ডিসেম্বর উভয় মহিলাদের সাজার রায় শোনানো হবে জানায় কাউন্টি কোর্টের একজন মুখপাত্র।
এম.কে
০৬ অক্টোবর ২০২৩