যুক্তরাজ্যের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক দেশের ইমিগ্রেশন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে ও এসাইলাম আবেদনের বেকলগ ক্লিয়ার করতে চাপ দিয়েছেন হোম অফিসকে। এই চাপের ফলে হোম অফিস দ্রুত সিদ্ধান্ত দিতে গিয়ে নতুন সমস্যার সৃষ্টি করছে বলে দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে জানা যায়। অযথা বিভিন্ন অভিবাসন প্রার্থীদের কেইস রিফিউজ করে দিচ্ছে হোম অফিস। রিফিউজ হওয়া এসাইলাম প্রার্থীদের আপিলের কারণে নতুন করে আবারও ফাইলের চাপ বাড়ছে বলে জানা যায়।
ঋষি সুনাক সরকারের চাপে পড়ে হাজার হাজার আশ্রয় মামলায় তাড়াহুড়ো করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে বলে মত প্রকাশ করেছেন সমালোচকেরা। ফাইল প্রক্রিয়াজাতকরণের ত্রুটির কারণে সবকটি ফাইল আবারও জটের সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
তথ্যানুযায়ী জানা যায়, ২০২২-২৩ সালে ২৯,০০০ এরও বেশি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আইনী চ্যালেঞ্জ দায়ের করা হয়। এই চিত্রটি আগের বছরের তুলনায় প্রায় চারগুণ বেশি। যার ফলে মামলাগুলি বিশেষজ্ঞ আদালতে একটি নতুন ব্যাকলগ তৈরি করছে।
হোম অফিসের এক কর্মকর্তা জানান, ঋষি সুনাক ২০২৩ সালের শেষের দিকে ৯০,০০০ এরও বেশি আশ্রয় আবেদনের ব্যাকলগ সাফ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি পূরণের চাপে প্রচুর এসাইলাম আবেদন ঠিকমতো নীরিক্ষার আগেই প্রত্যাখ্যান করা হচ্ছে যা পরবর্তীতে নতুন চাপ সৃষ্টি করবে।
গত বছর অর্ধেকের বেশি এসাইলাম কেইস সাক্ষাৎকার ব্যাতিরেকেই রিফিউজ করা হয় বলে জানা যায়। যাদের মধ্যে ২৮% হোম অফিস কর্তৃক প্রত্যাখ্যান করা হয় এবং আরও ২২% আবেদন হোম অফিস প্রত্যাহার করে নেয় আবেদনকারীদের সম্মতি ছাড়াই।
খারিজ হয়ে যাওয়া আশ্রয় আবেদনের বিরুদ্ধে লড়াই করা একজন ইরানি প্রতিবন্ধী আশ্রয়প্রার্থীর, কোনও সাক্ষাৎকার না নিয়েই তার এসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান করা হয় বলে জানা যায়।
লেবার পার্টি জানিয়েছে, সাধারণ নির্বাচনে জয়ী হলে তারা সকল এসাইলাম আবেদন যথাযথ প্রক্রিয়ায় পরীক্ষানিরীক্ষা করবে। কেইস ফাইল দ্রুত সমাধানের জন্য এক হাজারেরও বেশি কেইস ওয়ার্কার হোম অফিসে নিয়োগ দিবে লেবার পার্টি।
হোম অফিসের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “ আমরা সিস্টেমের অখণ্ডতা বজায় রেখে আশ্রয় আবেদনের প্রক্রিয়াকরণের গতি বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। আশা করা যায় আশ্রয় আবেদনের ব্যাকলগ দ্রুতই পরিষ্কার হবে।”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৪ জুন ২০২৪