যুক্তরাজ্য হোম অফিসের বিভিন্ন কার্যক্রম হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে। কনজারভেটিভ সরকারের শাসনামলে নানা আলোচনা, সমালোচনার জন্ম দেয় ইউকে হোম অফিস। হোম অফিস ইতোমধ্যে সংগঠিত হওয়া বিভিন্ন ভুলের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে।
তথ্যমতে জানা যায়, হোমঅফিস অবৈধ অভিবাসী এবং আশ্রয়প্রার্থীদের কাছে তাদের ভুল সিদ্ধান্তের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছে। যুক্তরাজ্যে থাকার জন্য অনুমতি প্রাপ্তদের ক্ষেত্রেও ভুলে ভরা সিদ্ধান্ত দিয়েছিল হোম অফিস। এমন অনেক ব্যক্তিদের দেশত্যাগের নোটিশ প্রদান করা হয়েছিল যা ছিল সম্পূর্ণভাবে ভুল সিদ্ধান্ত। বর্তমানে হোম অফিস তাদের সকল ভুল সিদ্ধান্তের কারণে ক্ষমা প্রার্থনা করে ভুল সিদ্ধান্ত গুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়। কিছু ক্ষেত্রে যুক্তরাজ্যে থাকার অনুমতি যাদের বাতিল করা হয়েছিল তাদের বসবাসের অনুমতি বা আই,এল,আর গ্র্যান্ট করা হয়েছে বলে জানা যায়।
দাতব্য সংস্থার একজন মুখপাত্র জানিয়েছে, বেশ কয়েকটি মামলায় দেখা গিয়েছে অনেক আশ্রয়প্রার্থীর পরিবারকে আই,এল,আর পাওয়ার পর উদযাপন করতে দেখা গিয়েছে। তবে কয়েকদিন পরেই হোম অফিস কর্তৃক দেশত্যাগ করার নোটিশও দেয়া হয়েছে এই সকল পরিবারদের। এইভাবে কি পরিমাণ দেশত্যাগের চিঠি ইস্যু করা হয়েছে তা হোম অফিস কর্মকর্তারা প্রকাশ করতে অস্বীকার করেছেন।
একটি ইরানিয়ান দম্পতি দ্য গার্ডিয়ানকে জানায়, তারা হোম অফিস অভিবাসী সহায়তা বিভাগ থেকে একটি ফোন কল পেয়েছিলেন। তাদের জানানো হয়েছিল তাদের পরিবারকে আই,এল,আর গ্র্যান্ট করা হয়েছে। তবে দু’দিন পরে আমরা আবারও একটি ফোন কল পাই যাতে জানানো হয় আগের ফোনকলে ভুল সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল।
তারা বলেন, এটি আমাদের কাছে এক বড় ধাক্কা ছিল। বিশেষত দ্বিতীয় ফোন কলে আমাদের জানিয়ে দেয়া হয়েছিল আমাদের কেসটি পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
যুক্তরাজ্যের এক দাতব্য সংস্থার আশ্রয় বিষয়ক পরিচালক ল ক্যালভে বলেন, তারা একাধিক মামলা সম্পর্কে অবগত আছেন যেখানে হোম অফিস কর্তৃক আই,এল,আর প্রদান করে পরবর্তীতে প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এটি মানুষের জীবনে নিছক এক যন্ত্রণা।
হোম অফিসের এক মুখপাত্র বলেছেন, “ যখনই আমরা কোনও মামলা বিষয়ক কোনো সমস্যা চিহ্নিত করি তখন এটি সমাধানের জন্য আমরা দ্রুতগতিতে কাজ শুরু করে থাকি। আমরা যে কারো কোনো অসুবিধা বা সঙ্কটের জন্য ক্ষমা প্রার্থী। আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের গুণমান এবং নির্ভুলতার উন্নতি করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। যাতে যুক্তরাজ্যের হোম অফিসের সিস্টেমের অখণ্ডতা বজায় থাকে এবং যেকোনো সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিলম্ব হ্রাস পায়। ”
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৫ জুলাই ২০২৪