হোম অফিসের পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি অথরিটি (এসআইএ) ঘোষণা করেছে, তারা এখনো নতুন ই-ভিসাকে চাকরিপ্রার্থীদের বৈধ পরিচয় হিসেবে গ্রহণ করছে না। ফলে নিরাপত্তা রক্ষী এবং সিসিটিভি অপারেটরদের জন্য লাইসেন্স প্রক্রিয়া থমকে যাচ্ছে।
ই-ভিসা চালু করা হয়েছে বায়োমেট্রিক রেসিডেন্স পারমিটের বদলে, যা যুক্তরাজ্যে বসবাস, কাজ, বাড়ি ভাড়া এবং সরকারি সুবিধা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করতে পারে। কিন্তু এই ডিজিটাল ব্যবস্থার রোলআউট নানা বাধার মুখে পড়েছে।
ইতোমধ্যে ব্যাংক, বিশ্ববিদ্যালয় ও সলিসিটরস রেগুলেটরি অথরিটি ই-ভিসাকে বৈধ পরিচয় হিসেবে মানতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে। কয়েকটি এনজিও জানিয়েছে, ই-ভিসার কারণে অভিবাসীরা চাইল্ড বেনিফিট পেতে সমস্যায় পড়ছেন। যদিও ডিপার্টমেন্ট ফর ওয়ার্ক অ্যান্ড পেনশনস এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
এসআইএ বলেছে, তাদের অভ্যন্তরীণ সিস্টেমে পরিবর্তন আনা ছাড়া ই-ভিসা ব্যবহার করে আবেদন গ্রহণ সম্ভব নয়। অথচ বহু চাকরিপ্রার্থীর কাছে অন্য কোনো বৈধ পরিচয়পত্র নেই, ফলে তাদের আবেদন বাতিল হয়ে যাচ্ছে।
২০২৪ সালে এসআইএ প্রায় ৪৫১,০০০ জনকে লাইসেন্স প্রদান করে। এদের মধ্যে অধিকাংশই নিম্নআয়ের অভিবাসী যাদের জন্য এই সমস্যা কর্মসংস্থানের পথ রুদ্ধ করছে।
‘দ্য থ্রিমিলিয়ন’ সংস্থা ও ‘মাইগ্র্যান্টস অর্গানাইজ’ অভিযোগ করেছে, ই-ভিসা ব্যবস্থার কারণে বহু মানুষ বিভ্রান্তির মধ্যে পড়েছে। ব্রায়ান ডিকঅফ বলেন, “এই ডিজিটাল পরিচয়ব্যবস্থা আরেকটি উইন্ডরাশ স্ক্যান্ডালের জন্ম দিতে পারে।”
আন্দ্রেয়া ডুমিত্রাকে বলেন, “সরকার খুব দ্রুত ই-ভিসা চালু করেছে, অথচ বাস্তবিক চাহিদা ও প্রস্তুতির ঘাটতি এখন বিপর্যয় ডেকে এনেছে। এটি নিয়ে অবিলম্বে তদন্ত প্রয়োজন।”
হোম অফিস বলেছে, এসআইএকে ই-ভিসার গুরুত্ব ও কার্যকারিতা সম্পর্কে জানানো হচ্ছে এবং তারা সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। তবে বাস্তবতা হলো, ই-ভিসার কারণে বহু মানুষ এখনো জীবিকার পথে এক অনিশ্চয়তায় পড়ে রয়েছেন।
তথ্যসূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
৩০ জুন ২০২৫