যুক্তরাজ্য স্থানীয় কাউন্সিলগুলি আগামী বছরের মধ্যে পরিবেশ ও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণে ডিসপোজেবল বাষ্প বা ই-সিগারেটকে নিষিদ্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে।
লোকাল গভমেন্ট এসোসিয়েশন (এলজিএ) বলেছে, যুক্তরাজ্যের বাজারে ই-সিগারেটের ব্যাপক যোগান বন্ধে নিষেধাজ্ঞা দ্রুত কার্যকর করা উচিত। ফ্রান্সসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশও ভ্যাপ বা ই-সিগারেট বন্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার কথা ভাবছে বলে খবরে জানা যায়। ২০২৩ সালের শেষের দিকে ফ্রান্স এবং ২০২৬ সালের ভিতরে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এলজিএ মুখপাত্র বলেন, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় হুমকি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে ভ্যাপ। বিশেষ ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে না গেলে এটা বর্জ্য হিসেবে ফেলে দেয়াও সম্ভব নয়।
স্বাস্থ্যসেবা অধিদপ্তরের মতে, এটি শিশু এবং তরুণদের জন্য ক্ষতিকর। তাছাড়া দ্রুত বিপণনের জন্য নানা স্বাদ ও রঙ ব্যবহার করা হয় যা মোটেও স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ নয়।
এলজিএর কমিউনিটি ওয়েলবাইং বোর্ডের চেয়ারম্যান ডেভিড ফাদারগিল বলেছেন, ” ই-সিগারেটকে ধূমপানের চেয়ে কম ক্ষতিকারক বলে দেখানো হয়েছে এবং ধূমপান বন্ধের সরঞ্জাম হিসাবে ভ্যাপ বা ই-সিগারেট জায়গা করে নিয়েছে যা খুবই এলার্মিং।”
স্থানীয় সরকার কাউন্সিলের একজন মুখপাত্র বলেন, করদাতাদের টাকা যাতে অযথা নষ্ট না হয় সেটা দেখা সরকারের দায়িত্ব, কিন্তু ই-সিগারেট বা ভ্যাপের কারণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্বাস্থ্যসেবায় সরকারকে ট্যাক্সের অর্থের ক্ষতিসাধন করবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়ান টাইম ব্যবহার করা ভ্যাপ বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করার সুযোগ না থাকায় কাউন্সিলের রাস্তাগুলি ভ্যাপ বর্জ্যে পরিপূর্ণ থাকে। পৃথিবীকে রক্ষা করতে, শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে এবং করদাতাদের অর্থ সাশ্রয় করার জন্য ভ্যাপ বন্ধের পদক্ষেপ দ্রুততার সাথে বাস্তবায়িত করা উচিত।
এম.কে
১৫ জুলাই ২০২৩