TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে ওয়েদারসফিল্ড আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপত্তাহীনতা ও কর্মবিক্ষোভ

যুক্তরাজ্যের এসেক্স এমডিপি ওয়েদারসফিল্ড আশ্রয়কেন্দ্রে কর্মরত নিরাপত্তাকর্মীরা নতুন চাকরির শর্ত, বেতন ও অতিরিক্ত দায়িত্বের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করে। তাদের মধ্যে তিনজন বিবিসিকে জানিয়েছেন, তারা প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই বরখাস্ত হয়েছেন। হোম অফিস জানায়, কর্মীদের এই অনুপস্থিতির পরও কেন্দ্রের কার্যক্রম স্বাভাবিক ছিল।
বরখাস্ত কর্মীরা অভিযোগ করেছেন, কেন্দ্রের আশ্রয়প্রার্থীদের কেউ কেউ সহিংস আচরণ করেন, মদ ও অস্ত্র বহন করেন, এমনকি রাতে পার্টি করেন। এক সাবেক কর্মী বলেন, “আমাদের সংখ্যা ২০ জনের মতো, অথচ আশ্রয়প্রার্থী প্রায় ১,২০০ জন। আমাদের কোনো সুরক্ষা নেই।”

আরেকজন অভিযোগ করেন, টিবি আক্রান্ত অভিবাসীদের সঙ্গে কাজ করেও ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী (PPE) দেওয়া হয়নি। কর্মীরা জানিয়েছেন, অভিযোগ করলে কোম্পানির জবাব হয়—“ভালো না লাগলে চলে যাও।”

সিকিউরিটি ইন্ডাস্ট্রি ফেডারেশন (SIF) জানিয়েছে, সরকারি ঠিকাদার ক্লিয়ারস্প্রিংস রেডি হোমস শনিবার থেকে ওয়েদারসফিল্ডে নিরাপত্তাকর্মীদের নিয়োগের দায়িত্ব নেবে। নতুন চুক্তির অধীনে তাদের কম বেতনে কাজ করতে হবে এবং নিরাপত্তার পাশাপাশি পরিচ্ছন্নতার কাজও করতে হবে।

SIF-এর সাধারণ সম্পাদক ড্যানিয়েল গারনহ্যাম বলেন, “আমরা কয়েক সপ্তাহ ধরে ক্লিয়ারস্প্রিংসকে আলোচনায় আনতে চেষ্টা করছি, কিন্তু তারা আগ্রহ দেখায়নি।” কোম্পানিটি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য দেয়নি।

ওয়েদারসফিল্ডে আশ্রয়প্রার্থীদের বাসস্থান ও খাদ্যের মান নিয়ে আগেও সমালোচনা হয়েছে। Médecins Sans Frontières তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, আশ্রয়প্রার্থীদের উপযুক্ততা যাচাই না করেই কেন্দ্রটিতে রাখা হচ্ছে।

বর্ডারস অ্যান্ড ইমিগ্রেশন-এর স্বাধীন পরিদর্শকও জানিয়েছেন, দীর্ঘ একঘেয়েমির কারণে অভিবাসীদের মধ্যে “গভীর হতাশা” বিরাজ করছে।
ব্রেইনট্রি কাউন্সিল জানিয়েছে, কেন্দ্রটিতে বর্তমানে ১,২৪৫ জন আশ্রয়প্রার্থী রয়েছে—যার ফলে নিরাপত্তা ও মানবিক সংকট আরও জটিল হয়ে উঠছে।

সূত্রঃ বিবিসি

এম.কে

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্যে ইমিগ্রেশন নিয়ে প্রতিনিয়ত ঘটছে অদ্ভুত সব ঘটনা

শিক্ষকতায় যোগ দিচ্ছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন

ইমিগ্রেশন আইনের নতুন বিধিমালা নিয়ে সরকারের সমালোচনায় লন্ডন মেয়র