২০২৩ সালে তামাকের সংস্পর্শে এসে বিশ্বব্যাপী ৭০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছে ইনস্টিটিউট ফর হেলথ মেট্রিকস অ্যান্ড ইভালুয়েশন (IHME)। এর মধ্যে পুরুষের মৃত্যু ৫.৫৯ মিলিয়ন এবং নারীর ১.৭৭ মিলিয়ন।
যুক্তরাজ্যে ১৯৯০ সালের তুলনায় তামাকজনিত মৃত্যুর হার ৪৫% কমেছে। কিন্তু বৈশ্বিক হারে মৃত্যু বরং ২৪.৪% বেড়েছে। এই হার বৃদ্ধি পেয়েছে বিশেষত চিবানো তামাক, ধূমপান এবং পরোক্ষ ধূমপানের কারণে।
মিশরে সবচেয়ে ভয়াবহ চিত্র দেখা গেছে, যেখানে ২০২৩ সালে তামাকজনিত মৃত্যুর হার ১৯৯০ সালের তুলনায় ১২৪.৩% বেশি।
গবেষক ব্রুকস মরগান জানান, তামাক সংস্পর্শ বিশ্বব্যাপী প্রতি আটটি মৃত্যুর মধ্যে একটির জন্য দায়ী। কিছু দেশে মৃত্যুর হার কমলেও, অনেক দেশে তা বিপজ্জনক হারে বাড়ছে।
আর্জেন্টিনার IECS পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, বলিভিয়া, হন্ডুরাস, নাইজেরিয়া, প্যারাগুয়ে ও উরুগুয়েতে তামাকের কারণে ৪১ হাজারেরও বেশি মানুষ মারা গেছে এবং এতে আর্থিক ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪.৩ বিলিয়ন ডলার, যা ওই দেশগুলোর সম্মিলিত জিডিপির ১% এর সমান।
আন্তর্জাতিক টিউবারকুলোসিস ও ফুসফুস রোগ প্রতিরোধ ইউনিয়নের নির্বাহী পরিচালক ক্যাসান্দ্রা কেলি-সিরিনো বলেন, স্বাস্থ্যকর তামাকজাত পণ্যের কোনো অস্তিত্ব নেই। ‘কম ঝুঁকি’ মানেই কেবল ব্যবসায়িক মুনাফা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে দেশগুলোকে ভ্যাপসহ নতুন নিকোটিন পণ্যের ওপর কঠোর নিয়ন্ত্রণ আরোপ, কর বৃদ্ধি ও গ্রাফিক সতর্কবার্তা বাধ্যতামূলক করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
WHO প্রধান ড. টেড্রোস গেব্রিয়েসুস হুঁশিয়ার করেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে অগ্রগতি এখনো দুর্বল। শিল্পটি তরুণদের লক্ষ্য করে নতুন পণ্য বাজারজাত করে আমাদের অর্জনগুলো ধ্বংস করছে।
ফুদান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক একটি মোবাইল টুল ধূমপান ত্যাগের ক্ষেত্রে দ্বিগুণ সফলতা এনে দিতে পারে। ট্রায়ালে ১৭.৬% ব্যবহারকারী ধূমপান ছেড়েছেন, যেখানে সাধারণ গ্রুপে সেই হার ছিল মাত্র ৭.৪%।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৪ জুন ২০২৫