যুক্তরাজ্যের সান্ডারল্যান্ড শহরে শরণার্থীদের বসবাসের জন্য বাড়ি কেনার কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে সিটি কাউন্সিল। স্থানীয় লেবার নেতা মাইকেল মরডে জানান, হোম অফিসের সিদ্ধান্তের পরই এই বিরতি কার্যকর করা হয়েছে। এর আগে, একই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কাউন্টি ডারহামেও।
সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, সান্ডারল্যান্ড শহর তার নির্ধারিত শরণার্থী গ্রহণের লক্ষ্যমাত্রা ইতোমধ্যে পূরণ করেছে। তাই শহরটিতে নতুন করে আর কোনো ‘ডিসপার্সাল অ্যাকমোডেশন’ বা অস্থায়ী আবাসনের জন্য শরণার্থী বরাদ্দ আপাতত বন্ধ রাখা হয়েছে।
ডিসপার্সাল অ্যাকমোডেশন হলো এমন এক ধরণের সরকারি বাসস্থান, যেখানে শরণার্থীরা তাদের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন প্রক্রিয়া চলাকালীন অবস্থান করে। এসব ঘর দীর্ঘমেয়াদি হলেও স্থায়ী নয়। সরকারের হিসাবে, ৩১ মার্চ পর্যন্ত সান্ডারল্যান্ডে ৮৩০ জন শরণার্থী এসব বাসস্থানে বসবাস করছিলেন। শহরটির মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৭৫,০০০।
তুলনামূলকভাবে, নিউক্যাসল সিটি কাউন্সিল—যার আওতায় প্রায় ৩ লাখ জনসংখ্যার বসবাস—সেখানে বর্তমানে ১,২০০-র বেশি শরণার্থী অবস্থান করছেন। এই সংখ্যাগুলোর পার্থক্য নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সান্ডারল্যান্ডের স্থানীয় নেতারা।
মাইকেল মরডে বলেন, “সান্ডারল্যান্ড একটি অতিথিপরায়ণ শহর, কিন্তু এটি ঠিক যে, অন্য এলাকাগুলোকেও সমানভাবে দায়িত্ব নিতে হবে। শরণার্থীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা জাতীয় দায়, কেবল কিছু শহরের একক দায়িত্ব নয়।”
এর আগেই, জুন মাসে হোম অফিস জানিয়েছিল, কাউন্টি ডারহামে শরণার্থীদের জন্য নতুন আবাসন কেনা তিন মাসের জন্য স্থগিত থাকবে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছিল, ওই অঞ্চলে ‘পর্যাপ্ত ধারণক্ষমতা’ ইতোমধ্যেই রয়েছে।
এই সিদ্ধান্তগুলো এমন সময় আসছে যখন যুক্তরাজ্যে শরণার্থী ব্যবস্থাপনা নিয়ে চাপ বাড়ছে, এবং স্থানীয় সরকারগুলো ভারসাম্যপূর্ণ নীতি দাবি করছে। শরণার্থীদের মানবিক অধিকার রক্ষা ও স্থানীয় জনগণের চাপ হ্রাস—এই দুইয়ের মধ্যে সুষম সমাধান খুঁজছে কেন্দ্র ও স্থানীয় প্রশাসন।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে
২৩ জুলাই ২০২৫