5.9 C
London
December 22, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

যুক্তরাজ্যে কেয়ার ভিসায় স্পাউস আনতে পারবেন না বিদেশি কর্মীরা

যুক্তরাজ্য সরকার অভিবাসন নীতিমালায় বড় পরিবর্তনের ঘোষণা দিয়েছে। স্কিলড ওয়ার্কার ভিসার নূন্যতম বেতন ও স্পাউস ভিসার ডিপেন্ডেন্ট আনতে বছরে নূন্যতম বেতন উভয়ই ৩৮ হাজার পাউন্ড নির্ধারণ করা হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রসচিব পাঁচ দফা পরিকল্পনা নির্ধারণ করেছেন যা নেট মাইগ্রেশন হ্রাস করতে ২০২৪ সাল হতে কার্যকর হবে।

২০২২ সালে নেট মাইগ্রেশনের রেকর্ড স্তরে পৌঁছানোর পর তা রোধ করার প্রয়োজনে স্বরাষ্ট্রসচিব পরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন। স্বরাষ্ট্রসচিব হাউস অফ কমন্সকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক সম্প্রতি বলেছিলেন যে অভিবাসনের মাত্রা খুব বেশি এবং তা টেকসই স্তরে নামিয়ে আনার প্রয়োজন। স্বরাষ্ট্র সচিব নতুন যে পরিকল্পনা করেছেন তা হল;

বিদেশী দক্ষ শ্রমিকদের ন্যূনতম বেতন ২৬,২০০ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৩৮,৭০০ পাউন্ড নির্ধারণ করা হবে। (যদিও স্বাস্থ্য ও কেয়ার খাতকে ছাড় দেওয়া হবে।)

ফ্যামেলি ভিসার ক্ষেত্রে স্পাউস আনতে ১৮,৬০০ পাউন্ড থেকে বাড়িয়ে ৩৮,৭০০ পাউন্ডে উন্নিত করা হবে।

তাছাড়া কেয়ার কর্মীরা ডিপেন্ডেন্ট আনতে পারবেন না এবং কেয়ার ভিসা স্পনসর করার জন্য প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে কেয়ার কোয়ালিটি কমিশনে নিবন্ধিত হতে হবে। তাছাড়া শর্টেজ অকুপেশন লিস্টেরও সংষ্কার করা হবে।

স্টুডেন্ট ভিসায় ডিপেন্ডেন্ট নিয়ে আসার নিয়মকে আরও কঠিন করা হবে। পাশাপাশি মাইগ্রেশন অ্যাডভাইজরি কমিটি কর্তৃক স্নাতক ভিসা রুটের সম্পূর্ণ পর্যালোচনা করা হবে।

স্বরাষ্ট্রসচিব জানান, নতুন পদক্ষেপের অর্থ হ’ল ২০২২ সালে যুক্তরাজ্যে চলে আসা আনুমানিক ১.২ মিলিয়ন লোকের মধ্যে ৩ লাখেরও বেশি লোক এটি করতে সক্ষম হবেনা। ডাউনিং স্ট্রিট জানায়, নতুন পরিকল্পনার লক্ষ্য হল রেকর্ড নেট মাইগ্রেশন গতিকে হ্রাস করা।

লেবারের ছায়া স্বরাষ্ট্রসচিব ইয়ভেট কুপার নতুন পদক্ষেপ নিয়ে সরকারের সমালোচনা করতে গিয়ে বলেন, সরকার নিজের তৈরি নীতির বিরুদ্ধে নিজেই অবস্থান নিয়েছে। যা খুবই হাস্যকর ব্যাপার। কনজার্ভেটিভ সরকার নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে যতই চেষ্টা করুক তারা অবশেষে ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে।

এম.কে
০৫ ডিসেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

ফিলিস্তিনের পক্ষে লন্ডনে তিন লাখ মানুষের বিক্ষোভ

আলোচনা ব্যর্থ, চুক্তিবিহীন ব্রেক্সিটের পথে বরিস জনসন!

মন্দা কাটিয়ে প্রবৃদ্ধিতে ফিরেছে যুক্তরাজ্য