ক্রিসমাস মার্কেটে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে কাজ করার অভিযোগে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যুক্তরাজ্যের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। সারে অঞ্চলের কেম্পটন পার্ক মার্কেটে বৃহস্পতিবার পরিচালিত এই অভিযানে ভারতীয়, ইরাকি ও চীনা নাগরিকত্বধারী ৯ জনকে আটক করা হয়। পাশাপাশি নিকটবর্তী কয়েকটি বাসা থেকে ভারতীয় নাগরিকত্বধারী আরও দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
হোম অফিস জানায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে পাঁচজনকে যুক্তরাজ্য থেকে অপসারণের প্রক্রিয়া সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত আটক রাখা হয়েছে। বাকি ছয়জনকে ইমিগ্রেশন বেইলে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
অভিযানটি হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট টিম, সারে পুলিশ এবং সাউথ ইস্ট রিজিওনাল অর্গানাইজড ক্রাইম ইউনিটের যৌথ তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো জানিয়েছে, অবৈধ কর্মসংস্থান ও সংশ্লিষ্ট অপরাধ দমনে সমন্বিতভাবে এই অভিযান চালানো হয়েছে।
হোম অফিসের ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট ইন্সপেক্টর স্যাম মালহোত্রা বলেন, অভিবাসন আইন ভঙ্গকারীদের জন্য “লুকানোর কোনো জায়গা নেই”। তিনি জানান, অবৈধভাবে কাজ করার ঘটনা যেখানেই ঘটুক, তা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং সম্ভব হলে সংশ্লিষ্টদের গ্রেপ্তার, আটক ও দেশ থেকে অপসারণ করা হবে।
তার মতে, যুক্তরাজ্যজুড়ে এই ধরনের কার্যক্রম দ্রুতগতিতে বাড়ছে এবং বর্তমানে এটি ব্রিটিশ ইতিহাসে সর্বোচ্চ মাত্রার প্রয়োগ কার্যক্রমে পরিণত হয়েছে।
সর্বশেষ সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের অক্টোবর থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্ট ১১ হাজার অভিযান পরিচালনা করে আট হাজারের বেশি অবৈধ অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। রেকর্ড শুরুর পর থেকে অবৈধ কাজের বিরুদ্ধে এটি সবচেয়ে বড় দমন অভিযান। একই সময়ে, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর যুক্তরাজ্যে থাকার বৈধ অধিকার নেই—এমন প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে অপসারণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্পেলথর্ন বরো কমান্ডার ইন্সপেক্টর ম্যাট ওয়ালটন বলেন, শোষিত ও ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের সুরক্ষা দেওয়াই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অগ্রাধিকার। তবে যারা জেনে-বুঝে আইন অমান্য করে কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে অংশীদার সংস্থাগুলোর সঙ্গে যৌথভাবে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, নির্দিষ্ট অভিযানে সমন্বিতভাবে কাজ করার ফলে শুধু অবৈধ কর্মসংস্থান নয়, সম্ভাব্য আরও বড় অপরাধ শনাক্ত ও দমন করা সম্ভব হচ্ছে।
সূত্রঃ বিবিসি
এম.কে

