যুক্তরাজ্যে চায়ের বাজারে ঘাটতির সুর উঠেছে বলে সংবাদমাধ্যমের খবরে প্রকাশ পেয়েছে। ব্রিটিশ ক্রেতাদের চায়ের ব্যাপারে সতর্ক করা হয়েছে। সুপারমার্কেটের পণ্যের সেলফে ক্রেতারা তাদের পছন্দের প্রিয় গরম পানীয় খুঁজে পেতে লড়াই করতে হতে পারে বলে খবরে জানা যায়।
চায়ের যোগানের ঘাটতির খবর সুপারমার্কেট সেইন্সবারির কিছু শাখাতে তাদের গ্রাহকদের সতর্ক করতে নোটিশ লাগিয়েছে। তাতে গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে বলা হয়েছে, “দেশব্যাপী চায়ের প্রাপ্যতায় সমস্যা রয়েছে বিধায় কালো চায়ের প্রাপ্যতার উপর প্রভাব ফেলতে পারে। আমরা কালো চায়ের বাজারে যোগানের ঘাটতি বুঝতে পড়ছি। চায়ের যোগানের ঘাটতির জন্য ক্ষমা চাইছি এবং শীঘ্রই পুরো সরবরাহে ফিরে আসার আশা করি। ”
খবরে জানা যায়, বাজারে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বিশেষ করে কালো চায়ের ঘাটতির কারণ আংশিকভাবে লোহিত সাগর দিয়ে পণ্য সরবরাহে ব্যাঘাত ঘটা।
ব্রিটিশ রিটেইল কনসোর্টিয়াম (বিআরসি) এর খাদ্য ও টেকসই পরিচালক অ্যান্ড্রু অপি বলেন, ” কিছু কালো চায়ের যোগানে অস্থায়ীভাবে ব্যাঘাত ঘটছে। যার জন্য ভোক্তাদের উপর প্রভাব পড়তে পারে।”
চীন, ভারত, শ্রীলঙ্কা এবং কেনিয়া বিশ্বব্যাপী প্রায় তিন-চতুর্থাংশ চা উৎপাদন করে থাকে। এশিয়া এবং পূর্ব আফ্রিকাতেই চা মূলত উৎপাদিত হয়। লোহিত সাগরে হুথিদের হামলার কারণে গত দুই মাস ধরে এই অঞ্চলগুলি থেকে মালামাল চালানের বড় ধরনের বিঘ্নের মুখোমুখি হয়েছে।
এই অঞ্চলে হুথি বিদ্রোহীদের দ্বারা সহিংসতার ফলে বেশিরভাগ শিপিং সংস্থাগুলি সুয়েজ খালের দিকে যাওয়া মূল বাণিজ্য রুট ব্যবহার করে। এই রুট আফ্রিকার পাদদেশে কেপ অফ গুড হোপের পাশে দিয়ে যায়। যার কারণে প্রতি চালানে অতিরিক্ত ১০-১৪ দিন যুক্ত হয়। তাছাড়া শিপিং সংস্থাগুলির জন্য ব্যয়ও বেড়ে যায়।
ভারতের দার্জিলিংয়ের বেশ কয়েকটি চা বাগানের মালিক এবং দোর্জে টিয়ের প্রতিষ্ঠাতা স্পারশ আগরওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানান, লোহিত সাগর দিয়ে যান চলাচল বিঘ্নিত হওয়ার কারণে চা চালান আপাতত স্থগিত করা হচ্ছে।
সূত্রঃ দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট
এম.কে
১৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪