যুক্তরাজ্যে ২ হাজারেরও বেশি পরিবার গৃহহীন অবস্থার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে। কারণ প্রাইভেট বাড়িওয়ালারা মর্গেজ রেইট ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে তাদের প্রপার্টি বিক্রি করতে আগ্রহী।
সরকারী পরিসংখ্যান হতে দেখা যায় প্রাইভেট প্রপার্টির মালিকের ১০ জনের মধ্যে চারজন বাড়ি বিক্রি করে দেয়ার অবস্থানে রয়েছেন। এর কারণ হিসাবে বাড়ির মালিকেরা জানিয়েছেন ভাড়া দিয়ে মর্গেজ চালানো অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। তাছাড়া অর্থনৈতিক দৈন্যদশারা কারণে দুর্দশার মধ্যে রয়েছে অনেক প্রপার্টি মালিক।
এদিকে, বাড়ির মালিকদের মধ্যে প্রায় এক তৃতীয়াংশ তাদের বাড়ির ভাড়া হ্রাস করার পক্ষে যেখানে শুধুমাত্র ৯% বাড়ির মালিকেরা বাসা ভাড়া বাড়ানোর পক্ষে মত দিয়েছেন। জাতীয় আবাসিক ল্যান্ডলর্ডস অ্যাসোসিয়েশন (এনআরএলএ) এর সমীক্ষায় দেখা গেছে, মর্গেজের উচ্চ সুদের হার বৃদ্ধি সম্পদ বিক্রয়ের মূল কারণ।
সাম্প্রতিক তথ্য হতে দেখা যায় যে ইংল্যান্ডে অস্থায়ী আবাসে বসবাসকারী শিশুদের সংখ্যা প্রায় ১,৪৫,৮০০ জন। যা এক বছরে রেকর্ড উচ্চতায় দাঁড়িয়েছে এবং গত বছরের তুলনায় ১২% বৃদ্ধি পেয়েছে। গৃহহীনদের নিয়ে কাজ করা দাতব্য সংস্থা রিভারসাইড বলেছে, “ইংল্যান্ড শহর জুড়ে মানবিক সংকট” প্রকট আকার ধারন করেছে।
রাইটমুভের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এখনও ইংল্যান্ডে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি গৃহ সংকট রয়েছে। গত দশক হতে ইংল্যান্ডের জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩.২ মিলিয়ন।
বুধবার, ভাড়াটে সংস্কার বিল হাউস অফ লর্ডসে বিতর্কের জন্য ফিরে এসেছে। এই বিলটি পাঁচ বছর আগে সরকার কর্তৃক ভাড়াটে উচ্ছেদ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আনা হয়েছে। তবে বিলটি ২০২৫ সালের গ্রীষ্মের আগে কার্যকর হবে না বলে খবরে জানা যায়।
হাউজিং দাতব্য সংস্থা শেল্টারের প্রধান নির্বাহী পলি নিয়েট বলেন, “ ভাড়াটে বিলের সংস্কারের কারণে গৃহহীনতা বাড়বে না। তবে কিছু সংষ্কার নিয়ে ভাড়াটেরা যে দাবি তুলেছে সেই বিষয়েও ভাবার দরকার আছে। মাত্র দুই মাসের নোটিশ দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়া হলে নানা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। নতুন বাড়ি খুঁজে পেতে সহায়তা করার জন্য কিছু সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। ”
উল্লেখ্য যে, ভাড়াটেরা বর্তমানে প্রস্তাবিত বিলের কিছু সংষ্কার দাবি করেছেন। ভাড়াটেরা বাড়ি হতে উচ্ছেদ করার সময় দুই মাসের জায়গায় চার মাসের নোটিশের সময় দাবি করেছেন তারা বলে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
১৬ মে ২০২৪