TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)

যুক্তরাজ্যে প্রবেশে ব্রিটিশ দ্বৈত নাগরিকদের জন্য নতুন নিয়ম

যুক্তরাজ্যে নতুন নিয়মানুযায়ী ইলেকট্রনিক ট্রাভেল অথরাইজেশন (ETA) চালু হতে যাচ্ছে।

ব্রিটিশ দ্বৈত নাগরিকেরা এখন হতে যুক্তরাজ্যে ভ্রমণের সময় যুক্তরাজ্যের পাসপোর্ট অথবা ‘সার্টিফিকেট অব এনটাইটেলমেন্ট’ দেখাতে হবে। যদি তারা অন্য কোনো দেশের বৈধ পাসপোর্ট বহন করেন তারপরেও এই নতুন নিয়মের আওতায় আসবেন তারা।

যুক্তরাজ্যে বসবাসের অধিকার থাকার প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত এই সার্টিফিকেট অব এনটাইটেলমেন্ট নিতে খরচ হবে £৫৫০ পাউন্ড।

২ এপ্রিল থেকে সম্পূর্ণভাবে কার্যকর হওয়া ETA নিয়ম অনুযায়ী, যারা যুক্তরাজ্যের বা আয়ারল্যান্ডের নাগরিক নন এবং যাদের বৈধ ভিসা, বসবাসের অনুমতি বা বসবাসের অধিকার নেই, তাদের যুক্তরাজ্যে প্রবেশের আগে অনলাইনে অনুমোদন নিতে হবে।

২ এপ্রিল প্রকাশিত একটি তথ্যে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্য ও আয়ারল্যান্ডের নাগরিক যারা একইসাথে ETA সুবিধাপ্রাপ্ত দেশগুলোর (যেমন: ফ্রান্স, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া ইত্যাদি) দ্বৈত নাগরিক, তারা বর্তমানে এই বিদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করেই যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারছেন।

স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, “আমরা বুঝি যে ETA চালু হওয়া ব্রিটিশ দ্বৈত নাগরিকদের জন্য একটি বড় পরিবর্তন। তাই এই রূপান্তরের সময় তারা তাদের বিদেশি পাসপোর্টেই ভ্রমণ করতে পারছেন।

তবে ভবিষ্যতে, সব ব্রিটিশ দ্বৈত নাগরিককে হয় একটি বৈধ ইউকে পাসপোর্ট, অথবা একটি সার্টিফিকেট অব এনটাইটেলমেন্ট দেখাতে হবে, যাতে সীমান্তে দেরি এড়ানো যায়। কখন থেকে এই নিয়ম কার্যকর হবে, তা আমরা পরিষ্কার করে জানিয়ে দেবো।”

তবে এ ব্যাপারে পরিষ্কার ব্যাখ্যা চেয়ে স্বরাষ্ট্র দপ্তরের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে, যদি বিদেশি পাসপোর্টে ETA ছাড়াই যুক্তরাজ্যে প্রবেশ সম্ভব না হয়, তাহলে তারা সীমান্তে কীভাবে প্রমাণ করবে যে তারা যুক্তরাজ্যের নাগরিক?

এদিকে, The Connexion-কে পাঠানো কিছু পাঠকের ইমেইলে বলা হয়েছে, তারা দ্বৈত নাগরিক হওয়ায় ETA আবেদন সম্পন্ন করতে পারেননি।

স্বরাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, একটি নির্দিষ্ট তারিখ থেকে, যুক্তরাজ্যে প্রবেশের জন্য দ্বৈত নাগরিকদের অবশ্যই একটি ইউকে পাসপোর্ট অথবা সার্টিফিকেট অব এনটাইটেলমেন্ট থাকতে হবে—যেভাবে এতদিন শুধু বিদেশি পাসপোর্ট ব্যবহার করা যেত, সেটি আর সম্ভব হবে না।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে “সার্টিফিকেট অব এনটাইটেলমেন্ট” বিদেশি পাসপোর্টেও সংযুক্ত করা যায়, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে ঐ ব্যক্তি যুক্তরাজ্যের নাগরিক এবং যুক্তরাজ্যে বসবাসের অধিকার রাখে, এমনকি তার ইউকে পাসপোর্ট না থাকলেও।

এই সার্টিফিকেট শুধুমাত্র যাদের বৈধ ইউকে পাসপোর্ট আছে তাদের জন্য ইস্যু করা হয়, এবং একজন ব্যক্তির কেবল একটি পাসপোর্টের জন্য দেওয়া হয়—যদি কারো একাধিক বিদেশি পাসপোর্ট থাকে, তবে এটি কেবল একটিতেই সংযুক্ত করা যাবে।

যুক্তরাজ্যের বাইরে বসবাসকারীরা সরকারি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারেন, এবং সাধারণত এটি পেতে তিন সপ্তাহ সময় লাগে।

আবেদন গৃহীত হলে, সিদ্ধান্তের চিঠির সাথে সার্টিফিকেটটি পাঠানো হবে, যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজের বিদেশি পাসপোর্টে সংযুক্ত করতে হবে।

এখনও এই পরিবর্তন কার্যকরের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।

বিদেশে অবস্থানরত ব্রিটিশ দ্বৈত নাগরিকদের এখন সিদ্ধান্ত নিতে হবে তারা ইউকে পাসপোর্ট সংগ্রহ করবেন, নাকি সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করবেন।

যাদের বৈধভাবে ইউকেতে বসবাস করার আছে কিন্তু তাদের পাসপোর্ট নেই, কেবল তারাই সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে পারবেন। যদি কারো পাসপোর্ট হারিয়ে যায়, তাহলে নতুন করে আবার সার্টিফিকেটের জন্য আবেদন করতে হবে বলে জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

ব্যয়ের দিক থেকে দেখা যায়, বিদেশ থেকে ইউকে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করলেও সেটি সার্টিফিকেটের তুলনায় অনেক সস্তা।

দুইটিরই প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হতে প্রায় তিন সপ্তাহ সময় লাগে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো জানিয়েছে, প্রতিবার যুক্তরাজ্যের পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে সার্টিফিকেটের জন্য পূর্ণ খরচে আবার সার্টিফিকেটের জন্যও আবেদন করতে হবে।

সূত্রঃ দ্য কানেকশন

এম.কে
০৮ এপ্রিল ২০২৫

আরো পড়ুন

যুক্তরাজ্য ভ্রমণে হোটেল কোয়ারেন্টাইনের ‘লাল তালিকায়’ ৩০ দেশ

অনলাইন ডেস্ক

গাড়ি চালাতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটিয়ে টরি এমপি গ্রেফতার

অনলাইন ডেস্ক

বিবি স্টকহোম থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের সরিয়ে নিচ্ছে যুক্তরাজ্য