7.2 C
London
December 22, 2024
TV3 BANGLA
যুক্তরাজ্য (UK)শীর্ষ খবর

যুক্তরাজ্যে ভিন্ন আবহে ইসলামভীতি সচেতনতা মাস উদযাপন

যুক্তরাজ্যে প্রতিবছরের মতো এই বছরও পালিত হচ্ছে ইসলামভীতি সচেতনতা মাস। ব্রিটিশ মুসলিমদের গল্প তুলে ধরে মুসলিম ও অমুসলিম সব সম্প্রদায়ের মধ্যে সংযোগ তৈরি করতে এবারের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে মুসলিমস স্টোরিজ। তবে গাজা উপত্যকার সংঘাত ও ব্রিটিশ রাজনীতির প্রতিকূল পরিবেশ এবারের আয়োজনকে পুরোপুরি ব্যতিক্রম করে তুলেছে।

সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, রাজনীতিবিদদের নেতিবাচক মন্তব্য ঘৃণ্য পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। গাজায় যুদ্ধবিরতির সমর্থনে বিক্ষোভকারীদের রাজনীতিবিদেরা ‘ঘৃণাত্মক মিছিলে’ অংশগ্রহণকারী হিসেবে বর্ণনা করছেন। এমনকি ফিলিস্তিনি পতাকা উড়ানো বা স্বাধীনতার পক্ষে কথা বলাকে ফৌজদারি অপরাধ হতে পারে বলে বিভিন্ন চিঠিতে বলা হচ্ছে।’

এমসিবির মহাসচিব জারা মুহাম্মদ বলেন, ‘সম্প্রতি আমরা ইসলামফোবিক বক্তৃতা ও হামলার উদ্বেগজনক বৃদ্ধি লক্ষ করেছি।

এমনকি অনলাইনে ইসলামফোবিক বর্ণনা ও ভুল তথ্যের প্রচার এই পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে।’

ব্রিটেনের মুসলিম কাউন্সিল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের মুসলিমরা সবচেয়ে বেশি ঘৃণামূলক আচরণের শিকার হচ্ছে। সরকারি তথ্য অনুসারে, ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক অপরাধের প্রতি পাঁচটির মধ্যে দুটি মুসলিমদের বিরুদ্ধে করা হয়। ধর্মীয়ভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিদ্বেষমূলক অপরাধের ৩৯ শতাংশ মুসলিমদের লক্ষ্যবস্তু করে করা হয়।

এর আগেও ২০২১ সালে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে ধর্মীয় ঘৃণামূলক অপরাধের ৪৫ শতাংশের লক্ষ্যবস্তু ছিল মুসলিমরা। তা ছাড়া অক্সফোর্ডের একটি মসজিদে অগ্নিসংযোগের চেষ্টা, কংক্রিট দিয়ে মুসলিম নারীর ওপর হামলার চেষ্টাসহ যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন শহরে বিদ্বেষমূলক অপরাধের ঘটনা দেখা গেছে।

ইসলামোফোবিয়া অ্যাওয়ারনেস মান্থ উদযাপনে এর অফশিয়াল সমর্থক, মুসলিমদের গল্প তুলে ধরা, প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ ও ওয়ার্কশপের আয়োজনসহ নানাভাবে এর সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়। তা ছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হ্যাশট্যাগ মুসলিমস স্টোরিজ লিখে এর প্রচার কার্যক্রমে অংশ নেওয়া যায়।

ব্রিটিশ ক্রিকেটার মইন আলী এই উদযাপনে অংশ নিয়ে বলেন, ‘ইসলামোফোবিয়া সচেতনতা মাস ২০২৩-এর প্রতিনিধি হতে পেরে আমি সম্মানিত। আমি অন্তর্ভুক্তি, বোঝাপড়া এবং সমাজ থেকে ইসলামোফোবিয়া নির্মূলে খুবই আগ্রহী। আসুন, কথোপকথনে অংশ নিন এবং সমাধানের অংশ হোন।’

উল্লেখ্য যে, ২০১২ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে মুসলিম এনগেজমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (এমইএনডি) উদ্যোগে ও বিভিন্ন ব্রিটিশ সংস্থার সহযোগিতায় প্রতিবছর ইসলামোফোবিয়া সচেতনতা মাস উদযাপিত হয়। ব্রিটিশ সমাজে মুসলিমদের ইতিবাচক অবদান তুলে ধরা এবং মানুষের ইসলামভীতিমূলক আচরণ সম্পর্কে সচেতন করাই মাসব্যাপী এই আয়োজনের প্রধান লক্ষ্য।

এম.কে
১২ নভেম্বর ২০২৩

আরো পড়ুন

ইউরোপে বাড়ির দাম বাড়ার পেছনে বড় বিনিয়োগকারীরা

অনলাইন ডেস্ক

কর বাড়ানোর বিকল্প নেই পরবর্তী ব্রিটিশ সরকারের

বাই টু লেট টপ স্লাইসিং

নিউজ ডেস্ক