যুক্তরাজ্যের আর্থিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা FCA এমন একটি নিয়ম বাতিলের চিন্তা করছে, যা সংকটে পড়া গৃহঋণগ্রহীতাদের ১২ মাসের সুরক্ষা দিয়ে ঘর বাজেয়াপ্ত হওয়া ঠেকাত।
FCA প্রধান নির্বাহী নিকিল রাঠি জানিয়েছেন, গৃহঋণ সংক্রান্ত “মর্টগেজ চার্টার” এখন পর্যালোচনার আওতায় এসেছে। সরকার ব্যবসায়িক প্রবৃদ্ধিকে উৎসাহ দিতে ঝুঁকি গ্রহণে আগ্রহী হওয়ায়, এ চার্টারটির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
চার্টারটি চালু হয়েছিল ২০২৩ সালে, যখন সুদের হার ৫.২৫ শতাংশে পৌঁছায়। এতে মাসিক কিস্তি হঠাৎ বেড়ে গেলে অনেক পরিবার ঘর হারানোর শঙ্কায় পড়ে।
এই চার্টারে ৪৯টি বড় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান যেমন HSBC, Lloyds, NatWest ও Santander সই করেছিল। এতে প্রথম কিস্তি মিস করার পর ১২ মাস পর্যন্ত ঘর বাজেয়াপ্ত না করার নিশ্চয়তা ছিল।
গ্রাহকরা ছয় মাসের জন্য ইন্টারেস্ট-অনলি চুক্তিতে যেতে পারতেন, অথবা মর্টগেজের মেয়াদ বাড়িয়ে আবার আগের অবস্থায় ফিরতে পারতেন। এসব সুবিধার জন্য কোনো আয় যাচাই লাগত না এবং ক্রেডিট স্কোরও ক্ষতিগ্রস্ত হতো না।
রাঠি বলেন, এখন যেহেতু কনজিউমার ডিউটি চালু হয়েছে এবং ঘর বাজেয়াপ্তের হার কমেছে, তাই একই নিয়ম রেখে অতিরিক্ত বোঝা তৈরি করার যৌক্তিকতা কমে যাচ্ছে।
অর্থমন্ত্রী র্যাচেল রিভস ইতিমধ্যেই বলেছেন, ২০০৮ সালের আর্থিক সংকটের পর চালু হওয়া অনেক নিয়ম “অতিরিক্ত দূর” চলে গেছে এবং ব্যবসার প্রতিযোগিতা কমিয়ে দিয়েছে।
সরকার চাইছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো এমন নিয়ম কমিয়ে আনুক, যা ব্যবসা, বিনিয়োগ ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
FCA এখন বাড়ি কেনা সহজ করতে গৃহঋণ সংক্রান্ত নিয়ম শিথিলের পথ খুঁজছে। রাঠি চান, ঝুঁকির সীমা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা হোক এবং সরকার স্পষ্ট করুক তারা কতটা ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, দীর্ঘমেয়াদি স্থায়িত্ব ও আস্থা নিশ্চিত করতে সরকার, শিল্প, সংসদ ও নিয়ন্ত্রকদের মধ্যে সমন্বয় থাকা জরুরি।
সূত্রঃ দ্য গার্ডিয়ান
এম.কে
২৬ জুন ২০২৫